Site icon The Bangladesh Chronicle

কম দামে বেচতে ৫১৯ কোটি টাকার তেল-ডাল-চিনি কিনছে সরকার

কম দামে বেচতে ৫১৯ কোটি টাকার তেল-ডাল-চিনি কিনছে সরকার

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে বিক্রির জন্য ৫১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি কিনছে সরকার। এর মধ্যে ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল, ২৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে চিনি এবং ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা দিয়ে মসুর ডাল কেনা হবে।

আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক টিসিবিরসহ আরও কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টসের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা দরে এ তেল কিনতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া আসন্ন রমজানে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য মেঘনা সুগার রিফাইনারির কাছ থেকে দুই লটে ২০ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দুই লটে প্রতি কেজির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১১৬ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ১১৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এদিকে দুটি প্রস্তাবে রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস থেকে ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকায় ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা ও ৯৭ টাকা ২২ পয়সা।

এদিকে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের বাইরে আরও ১০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। তবে এর পদ্ধতি নিয়ে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

তবে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির নিয়মিত কার্যক্রম আছে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের জন্য। টিসিবি মনে হয় সেখান থেকে গার্মেন্টস কর্মীদের থেকে সংস্থান করতে পারবে। ১০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক এক কোটির বাইরে থাকবে কি–না এমন এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক কোটির ভেতরে আছে। কারণ এক কোটি সব তো এখনও ইস্যু করা সম্ভব হয়নি। আপাতত গার্মেন্টস শ্রমিকদের এ সুবিধা দেওয়া হবে। টিসিবি যখনই বিক্রি কার্যক্রম শুরু করবে, তখন থেকেই ঢাকার আশপাশ এলাকার পোশাক শ্রমিকরাও পাবেন।

অন্যান্য প্রস্তাব
বৈঠকে ৫০ হাজার টন গম সরকারি পর্যায়ে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ১৭১ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় সিঙ্গাপুরের এগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল যা সরবরাহ করবে। প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ২৮৬ দশমিক শূন্য ৮ ডলার। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ২৯২ দশমিক ১৪ ডলার দরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেসার্স অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়া থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে ২৪৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন এবং সৌদি আরবের সার্বিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৩০ হাজার টন সার কেনা হবে। ইংল্যান্ড থেকে ১৫ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট এবং ১৫ লাখ লেমিনেশন ফয়েল আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। পাসপোর্টের  সামগ্রী আনতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

samakal

Exit mobile version