১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা রিয়াজ কর্মরত ছিলেন বিমান বাহিনীতে। আকাশের সঙ্গে মিতালি পাতানো তার ছিল নিত্যদিনের গল্প। একসময় পাখিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ে বেড়ানোর জীবনে দাড়ি টেনে নাম লেখান বাংলা চলচ্চিত্রে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার পোস্টার উন্মোচন অনুষ্ঠানে নিজের অভিনেতা হওয়ার সেই গল্প শোনান রিয়াজ। এ সময় তিনি জানান, আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত বিখ্যাত নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’- এর শেষ পর্বই তাকে নিয়ে এসেছিল রূপালি পর্দায়।
এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওয়াহিদ উন নবীর দাবীকৃত অভিযোগ অসত্য বলে জানান তিনি। তাকে স্বাধীনতার বিপক্ষের সদস্য হিসেবে দাবি করেন। এই চক্র দ্বারা তিনি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন বলেও তথ্য দেন।
রিয়াজ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি ওনাকে চিনি। তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার ওয়াহিদ উন নবী। আমার জুনিয়র। ওই কোর্সে তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’
এরপর এই অভিনেতা আরও বলেন, “বর্তমানে ওয়াহিদ যে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন সেটা স্বাধীনতা বিরোধীপক্ষের একটি সংগঠন। মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোই তাদের একমাত্র কাজ। তার প্রতীকী নাম হচ্ছে ‘গুরু’। তিনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখনও তার নামে মামলা চলমান।”
এ সময় নিজেকে স্বাধীনতার পক্ষের উল্লেখ করে রিয়াজ বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীপক্ষের যে সাইবার গুজব সেলটি আছে ওয়াহিদ তার অন্যতম সদস্য। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত অপপ্রচার, প্রপাগান্ডা ছড়ান তারা। আমি যেহেতু স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলি সে কারণে আমার বিরুদ্ধে তারা গুজব ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত না। কারণ তারা শুধু আমাকে নিয়ে না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যারা আছেন তাদের সবাইকে নিয়েই অপপ্রচার চালান তারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নামেও অপপ্রচার চালান তারা। এরা হচ্ছে তাসনিম খলিলের বংশধর।’
প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই ওয়াহিদ উন নবীদের এই চক্র আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালায়, ট্রল করে। ২০১৮ সালের দিকে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। সেসময় আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করি।’
সবশেষে রিয়াজ বিমান বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন। ওয়াহি উন নবীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, বিষয়টি সত্য নয়। মূলত নাটক দেখার অপরাধেই বিমান বাহিনী থেকে সরে আসতে হয়েছিল তাকে।
আরআর/আরএসও