গৌতম দাস
২৫ মে, ২০২৫ মধ্যরাত ১২ঃ ৩৯
দিন শেষে কী দাঁড়ালো?
ওয়াকার ইস ওভার! এ নেম ফর আ লষ্ট গেম!
এন্ড দ্যা উইনার ইস ডঃ ইউনুস!
সরি, ওয়াকার সাব এভাবেই লিখতে হল। কারণ, আপনি নিজেই এক পরিচয় বেছে নিয়েছেন যেখানে আপনি সেনাপ্রধান কম, পলিটিক্যাল জগতে এন্ট্রুডার [intruder] বেশি; মানে সীমা ক্রশ করা অনুপ্রবেশকারী হয়ে গেছেন। হয়ত জেনে বা না-জেনে! এক অবিবেচক রিস্ক টেকার হওয়াতে আপনাকে এখন খেসারত দিতে হবেই!
এটাই ঘটবে তা আমি গতকাল সন্ধ্যা থেকে যারাই আমাকে নক করেছিল তাদের সবাইকে বলেছিলাম! বেশিরভাগই বিশ্বাস করে নাই। আজ কেবল বিকালের পর থেকে করেছে, করতে শুরু করেছিল।
কারণ, আমি বুঝেছিলাম ওয়াকার সাব নিজ সক্ষমতা কতটা যেটাকে বলে “এসেসমেন্ট অফ সেলফ স্ট্রেন্থ” – সেটা তিনি করেনই নাই। অথবা তা করেন নাই জেনেও করা ছাড়াই আবেগী সিদ্ধান্তে চলে গেছেন! আপনি তো একজন সৈনিক! কিন্তু এটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে অসৈনিক-সুলভ আচরণ করেছেন! যা আপনার অনিচ্ছায় অজান্তে প্রমাণিত যে আপনি সৈনিকই নন!
আপনার স্ট্রেন্থ এর ঘাটতি মানে আপনার ক্ষমতার মুরোদের ঘাটতি টা আপনি ভেবেছিলেন ব্যারাকের বাইরের শক্তি যেমন, বিএনপির মত দল আর র-এর দালাল মিডিয়াগুলোকে দিয়ে কাভার করে ফেলতে পারবেন!!! কিন্তু হায় ওয়াকার! এটা কী করলেন আপনি!!!
সামরিক বা ফিজিক্যাল সক্ষমতার ঘাটতি প্রপাগান্ডা মিডিয়া দিয়ে পূরণ হয় না! বুঝা যাচ্ছে এটা আপনাকে কেউ শিখায় নাই! খুব সম্ভবত নিয়মিত লেগে থাকা র-এর উস্কানি আপনাকে এই পথে এই আত্মঘাতি পথে ঠেলে দিয়েছে! কারণ, তাদের কাছে আপনি মরলে কী এসে যায়? তারা তো দুদন্ড না থেমেই আপনাকে ফেলে সোজা হাটা দিয়ে অন্য একটা শিকার ধরতে চলে যাবে বা গেছে অলরেডী! কিন্তু এখন আপনার কী হবে???
এখন আপনার অপশন কী? কী আর বাকী হবে???
অপশন একঃ
সৈনিক মর্যাদাবোধ কিছু যদি অবশিষ্ট থাকে তবে স্বচ্বচ্ছায় পদত্যাগ করে বেনিফিটগুলো নিশ্চিত করে আর সম্মান নিশ্চিত করে বিদায় নিতে পারেন।
অপশন দুইঃ
আরো বড় বোকা হয়ে হাজির হতে পারেন। বুডা হাড়ে লড়ে যাবার বোকামি মাথায় চেপে বসে গেলে মানুষের যা হয় তেমন আর কি! যার শেষটা অবশ্যই হবে খুবই নির্মম; যা আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে। নিশ্চিত থাকতে পারেন। সবচেয়ে বড়কথা সেক্ষেত্রে নিজেকে চরমতম অসম্মান করবেন; অসম্মানের মধ্যে ফেলে দিবেন। যাকে বলে লষ্ট ইওর টোটাল মাইন্ড!
তবে ওয়াকার সাব এটা বুঝে গিয়েছিলেন দুপুর থেকেই – একেবারে ঘরে-বাইরে! ঘরের কথাটা থাক। বাইরেরটাই মানে আম-মানুষের পরিচিত দিকটা নিয়েই বলি!
এর প্রধান চিহ্নটা হল, শান্তনা রহমান। ওরফে (alias) মতিউর রহমান চৌধুরীর সীমা ছাড়ানি উদ্ধত্বপুর্ণ শিরোনাম – “পদত্যাগ নয়, নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে” এর লেখাটা।
বোকা মতি শেষ জীবনে এসে এতটাই ডেসপারেট আর অবুঝ রিস্ক নিয়ে বসলেন যে ওয়াকারকে তিনি খাড়া করবেনই! অর্থাৎ তিনি ধরে নিলেন ওয়াকার জিতবেনই; তাই তিনিও। অথচ মতি সাবের নুন্যতম এনালাইটিক্যাল পাওয়ার কখনই ছিল না নাই যা দিয়ে তিনি বুঝবেন বা বুঝে নিলেন কীসের ভরসায় যে কেন ওয়াকার সাব জিতবেন?
তাই মনে হচ্ছে বুঝাবুঝি না, নিজ জীবনের বড় খুব কিছু হতে না পারার হতাশা থেকেই যেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ওয়াকার সাবকে নিয়ে বাজী ধরার যায়। যেন ওয়াকার সাবকে মিথ্যা মিডিয়া প্রপাগান্ডা সার্ভিস দিয়েই তিনি বাজি লুটবেন – তিনি জিতবেনই!
ওয়াকার সাবও ডেসপারেট, কেউ বুদ্ধি দিল ওসব ফেসবুকীয় নাইন সার্ভিস কিনে সেখানেই লেপ্টে থাকার জন্য এর কারণেই তাঁর সাফল্য আসছে না।তাই সেখান থেকে মেইনস্ট্রিম সার্ভিস কিনে নিবার ডেসপারেট সিদ্ধান্তে যেতে ঝাপিয়ে পরেন। কারণ, তিনিও ততক্ষণে বুঝে গেছিলেন তার সময় ফুরিয়ে আসছে – বেশি সময় আর পাবেন না। তিনি হেরে যাচ্ছেন। অতএব এই ডেসপারেট সিদ্ধান্ত – মানবজমিন সার্ভিস কিনতে ঝাপিয়ে পড়া।
আসলে যে কথা বলছিলাম,
লেখাটা মনে হবে চরম আক্রমণ করতে এগিয়ে যাচ্ছেন ওয়াকার-মতি জোট! কিন্তু না! আসলে মরবে জেনেও আগানো এমন মরিয়া দশা বা ফেজ সেটা!
এর চিহ্নটা হল, মতি সাবের শিরোনামটা দেখেন!
“পদত্যাগ নয়, নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে” !!!!!
আচ্ছা মতি সাব না হয় আদেশপ্রপ্ত লোক কিন্তু ওয়াকার? তিনি কী জানতেন না যে প্রথমদিনের শেষ রাতেই ইউনুস সাব পদত্যাগের ফাইল আবার ক্লোজ করে ফেলেছেন? এর স্পবক্ষে লোক সমর্থক জড়ো করে ফেলেছেন? এই তথ্য ওয়াকার সাবের অজানা থাকতেই পারে না। তাঁর নিজস্ব (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) ইন্টেজিন্স এম আই [M I] কী তাকে বলে নাই একথা???? তাই এটা অবিশ্বাস্য যে ওয়াকার সাব এটা জানলেন না।
তাহলে তিনি সেটা জেনেও গতকাল দুপুরে কী করে মতি সাব কে এই শিরোনাম দিতে বলেন যে “পদত্যাগ নয়, নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে”???কারণ গতকাল মানে তো আটচল্লিশ ঘন্টা পরের শিরোনাম এটা!!
এছাড়া ঘুটি শব্দের ব্যবহার ওয়াকার-মতির জন্য আত্মঘাতি যা তাঁরা জেনেও ব্যবহার করেছেন শুধু না। হেরে যাবার আগে এটা বিরাট উস্কানিমূলক! নিজ অপরাধ স্বীকারের ইঙ্গিত না দিয়ে উলটা চোর কোতয়ালকে বকা দিচ্ছে যেন! এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, কিন্তু এক আগ্রাসী এটিচ্যুড! নিবুদ্ধিতার!
অতেব সারকথায়, ওয়াকার লস্ট দা হোল গেম!
আর বিপরীতে ইউনুস সাহেব শুধু জিতেছেন তাই নয়। এখন পুরা পরিস্থতি ইউনুস সাবের মুঠোয় চলে গেছে। গতকাল উনার উপদেষ্ট পরিষদের বিবৃতি [