বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৬ আগস্ট) স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, মানি লন্ডারিং গুরুতর অপরাধ। সত্য-মিথ্যা যাচাই হওয়া উচিত। অভিযোগ সঠিক না হলে তারা (এস আলম) হলফনামা দিয়ে বলবেন। বিভ্রান্তি থাকলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘এস আলম’স আলাদিন’স ল্যাম্প’ (এস আলমের আলাদিনের চেরাগ) শিরোনামে গত ৪ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ওই অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। ’
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী লিটন আহমেদ। সায়েদুল হক লিখিত আবেদনও নিয়ে যান। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।
শুনানিতে সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, ‘আগে ব্রিটিশরা আমাদের শাসন করতো, আমাদের টাকাপয়সা নিয়ে যেত। ব্রিটিশদের কাছ থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। তবে এখন আমরাই বিদেশে টাকা দিয়ে আসি। অনুমতি ছাড়াই এস আলম বিদেশে এক বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। ’
শুনানিতে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বিদেশে অর্থ পাঠানোর জন্য এস আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেননি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কাউকে অফশোর ব্যাংকিং করার অনুমতি দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩