ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আগ্রহ নিয়ে সার্চ কমিটির কাছে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মিছিল করে যাচ্ছে সার্চ কমিটির কাছে। এই যে আদেখলাপনা, এরা যদি নির্বাচন কমিশনার হয়, গণতন্ত্রের যে কী পরিণতি, ভোটের কী পরিণতি, নির্বাচনের কী পরিণতি হবে, সেটা আমরা সকলেই বুঝতে পারি।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১-এর আয়োজনে ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি নূরুল হুদা কমিশনের চাইতেও বড় কোনো ‘বেহুদা’ কমিশন গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা বলেছেন, তাঁর কোনো ব্যর্থতা নেই। এ বক্তব্য প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তিনি ঠিকই বলেছেন। ইভিএম মেশিন কিনতে গিয়ে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হুদা সাহেবের সফলতা। প্রশিক্ষণের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিও তাঁর সফলতা। নূরুল হুদার অন্যতম বড় সফলতা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করে পুরস্কার নিয়েছেন নিজের ভাগনেকে সাংসদ বানিয়ে। তাঁর অর্জন বলে শেষ করা যাবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১০ বছরে রকিব কমিশন বিনা ভোটের নির্বাচন দিয়েছে। অন্যদিকে হুদা কমিশন ভোট চুরি ও নিশিরাতের ভোট করেছে।
রিজভী বলেন, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর মাঝে কিছুদিন মনে হয়েছিল, গুম-খুন কমেছে, কিন্তু কমেনি। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। এ সরকারের অন্তরাত্মা পাপে পূর্ণ। সে তো শুনবে না। সে তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের জনগণ ও স্বাধীনতাকে তোয়াক্কা করবে না।
গণতন্ত্রের লাশ শুকিয়ে এখন কঙ্কালে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, কোনো বিধিনিষেধে, নিষেধাজ্ঞায় এদের কিছু হয়নি। সম্প্রতি খুলনা ও বরগুনার ছাত্রদলের দুই সদস্যকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, তাঁদের কোনো খোঁজ নেই। সরকার নিষেধাজ্ঞার ভয় করে না। বিরোধী দল-মতকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে তারা।
আন্দোলনের ঝাঁক আসছে জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে হবে। সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।