Site icon The Bangladesh Chronicle

এনবিআর চেয়ারম্যানের আয়কর রিটার্ন ফাঁস, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৯
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ০৩

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের আয়কর রিটার্ন ফাঁস করার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার রমনা থানায় সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, কর অঞ্চল-৪ এর সহকারী কর কমিশনার আতাহার আলী খান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে নথি গায়েব ও ফেসবুক পেইজের এটি লিংক সংযুক্ত করা হয়। তবে চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের আর্যকর রিটার্ন ফাঁসের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ্য করা হয়নি।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক আমার দেশকে বলেন, কারও নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজহারে ফেসবুক পেজের একটি লিংক দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ আয়কর বর্ষের রিটার্নের তথ্য প্রকাশ করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রিটার্নের তথ্য প্রকাশ করে বেশ কিছু অসঙ্গতিও তুলে ধরেন।

এদিকে চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের রিটার্ন প্রকাশিত হলে এনবিআর কর্মকর্তাদের মধ্যে তোলপাড় তৈরি হয়। সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কর অঞ্চল-৪ এ ওইসব করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেন আবদুর রহমান খান। অবশ্য যে তিন করবর্ষের আয়কর রিটার্নের তথ্য ফাঁস হয়েছে ওই সময় তিনি এনবিআর চেয়ারম্যান ছিলেন না। গত বছরের ১৫ আগস্ট আবদুর রহমান খানকে সরকার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেন।

চলতি বছরের মে মাসে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব বাস্তবায়ন বিভাগ নামে দুটি বিভাগ গঠনে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ওই অধ্যাদেশ বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হয়। তবে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। অপসারণের দাবিতে রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ, কলম বিরতি, অবস্থান ধর্মঘট, মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতিত সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। সরকারের কঠোর অবস্থান ও আন্দোলনকারীসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকার ঘোষণার পর ২ জুন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় তারা। আন্দোলন প্রত্যাহারের পর আন্দোলনে সম্পৃক্তদের অনেককে চাকুরিচ্যুত করা হয় কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অনেককে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Exit mobile version