Site icon The Bangladesh Chronicle

একীভূত হওয়ার পথে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি!

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মূলত কোটা সংস্কার এবং জুলাই আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা দুটি দল—গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। দল দুটির নেতারা জানিয়েছেন, একটি শক্তিশালী তরুণ-নির্ভর রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।

গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির লোগো

এই আলোচনা দুটি সম্ভাব্য পথে এগোচ্ছে—হয় দল দুটি একীভূত হয়ে একটি নতুন দলে রূপান্তরিত হবে, নয়তো তারা একটি জোট গঠন করবে। উভয় দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সম্প্রতি এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন এবং বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে, তা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, তাদের দলের ভিত্তি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করতে তারা নতুন পথচলা শুরু করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এতে তারুণ্যের শক্তি আরও বেগবান হবে।’

একই সুরে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীই তরুণ এবং বিভিন্ন আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে রাজপথে ছিলাম। জনগণও তারুণ্যের একটি শক্তিশালী ভিত্তি দেখতে চায়।’

দল দুটির মধ্যে আদর্শিক ও কাঠামোগত বেশ মিল রয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। দলটি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে।

অন্যদিকে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় এনসিপি, যার আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আখতার হোসেন ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে নুরুল হক নুরের প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং উভয় দলের অনেক নেতাই ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Source : https://www.bangla.24livenewspaper.com/post-143489

Exit mobile version