একাত্তরে ব্যাংক ডাকাতির প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী।

একাত্তরের মার্চে তাজউদ্দিন ও মনসুরের পরিকল্পনায় ও নিউক্লিয়াসের পরিচালনায় সারাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক ডাকাতি হয়। সবচেয়ে বেশি হয় বগুড়াতে। সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ কত ছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। টাকাগুলো গচ্ছিত ছিল মনসুরের কাছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি অফিসে থাকা বরাদ্দ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন লুট করে মুক্তিযোদ্ধারা। অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠন করে ক্যাপ্টেন মনসুরকে সেইসব টাকা জমা করে টাকাসহ দায়িত্ব দেয়া হয় অর্থমন্ত্রীর।

অবশেষে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সেই ব্যাংক লুটের টাকা নিয়ে কথা হয়। কথা হয় সারা পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত ডোনেশনের হিসাব নিয়ে।
নানামুখী চাপে বলতে শেষ পর্যন্ত মনসুর বলতে বাধ্য হয় ব্যাংক লুট বাবদ আয় হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কেউ জানে না একাত্তরে ১০০ কোটি টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে। কী তার হিসাব?

ইত্তেফাক পত্রিকা এই নিয়ে অর্থ আত্মসাতের কয়েকটি প্রতিবেদন করেছিলো। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা মনসুর সেই সাংবাদিকের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এরপর থেকে ইত্তেফাকও আর প্রতিবেদন ছাপে নি।

বুঝতে হবে যে ১৯৭১ সালের ১০০ কোটি টাকা বর্তমান সময়ের হিসাবে কত লাখ লাখ কোটি টাকা হতে পারে!

কাউসার মুমিন