Site icon The Bangladesh Chronicle

একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও জয় পাকিস্তানের

একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও জয় পাকিস্তানের। – ছবি : সংগৃহীত

হারের বৃত্ত থেকে বের হতেই পারছে না জুনিয়র টাইগাররা। পাকিস্তান অনুর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছে। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। এবার সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানি যুবারা।

রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে এ দিন উদ্বোধনী জুটিতে ভালো কিছুর সম্ভাবনা ছিল। জিসান আলম ও মঈনুল ইসলাম তন্ময় ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে যোগ করেন ৭২ রান। দারুণ ব্যাট করেছেন জিসান। ব্যাটিং ধরণ দেখে খুব সাবলীল মনে হচ্ছিল। ২৬ বলে ঝড়ো ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে তন্ময় ছিল নিস্প্রভ, ৩৩ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

৩ নম্বরে নেমে অধিনায়ক আহরার আমিন ৩ ছক্কা হাঁকিয়েও ১০ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে আরিফুল ইসলাম ২৫ বল থেকে এনে দেন ৩০ রান। এরপর মাহফুজুর রহমান রাব্বি, আশিকুর রহমান শিবলি, মোহাম্মদ শিহাব জেমস ছোট ছোট ইনিংস খেললে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৫৯।

লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে পাকিস্তানকে শুরুতেই ধাক্কা দেন ইকবাল হোসেন প্রথম ওভারের শেষ বলে ফেরান পাকিস্তানি ওপেনার শাহজাইব খানকে।রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তিনে নামা অধিনায়ক সাদ ফেরেন ১৬ বলে ২৪ রান করে। আর ৪ নম্বরে নামা তৈয়ব ১৯ বল খেলে যোগ করেন ১৬ রান।

যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার শামিল হোসাইন। চতুর্থ উইকেটে তিনি আরাফাত মিনহাসকে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান। আর তাতেই যেন বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে বেড়িয়ে যায় ম্যাচ। আরাফাতের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস।

জয় থেকে মাত্র ১৫ রানের দূরে থাকা অবস্থায় ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শামিল। এ ওপেনার ফিরলেও অবশ্য কোনো বিপদ হয়নি পাকিস্তানের। ১৬০ রানের লক্ষ্য ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। আলী আসফান্দ অপরাজিত থাকেন ৪ বলে ৬ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে ইকবাল হোসেন ইমন ৩টি, রোহানাত দৌলা বর্ষন ২টি ও আরিফুল ইসলাম পান ১টি করে উইকেট।

Exit mobile version