ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ওঠা কারচুপি ও অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। যিনি গত বছর রওশন এরশাদের পক্ষ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন। জিয়াউল হক মৃধার মামলায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় চার মাস আদালতের নিষেধাজ্ঞায় দলীয় দায়িত্ব থেকে বিরত ছিলেন।
জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত জিয়াউল হক মৃধা ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন উপনির্বাচনে। আওয়ামী লীগের শাজাহান আলম পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন জিয়াউল হক মৃধা। সংবাদমাধ্যমে দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জাল ভোটের খবর এসেছে। তাই নির্বাচন কমিশন ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদের বরাতে বলা হয়েছে, ‘আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। আশা করি নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’