Site icon The Bangladesh Chronicle

ঈদে বন্দীরা এবার বাড়ির খাবার খেতে পারছেন না

Daily Nayadiganta

ঈদে বন্দীরা এবার বাড়ির খাবার খেতে পারছেন না – সংগৃহীত

প্রতি বছর ঈদের দিন কারাবন্দীদের সাথে তাদের আত্মীয়স্বজনরা কারাগারে সাক্ষাতের পাশাপাশি বাড়ির রান্না করা পোলাও, গোশতসহ মুখরোচক খাবার দিতে পারতেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন ৬৮ কারাগারে আটক সব বন্দীই।
এরই মধ্যে ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদফতর থেকে বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ বন্ধ এবং বাড়ির রান্না করা খাবার কারা অভ্যন্তরে না প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রত্যেক কারাগারের জেলার ও জেল সুপারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বিকেলে কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো: মনজুর হোসেন নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কারাগারে বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ তো আগে থেকেই বন্ধ হয়ে আছে। ফলে নতুন আদেশ না দেয়ার আগ পর্যন্ত স্বজনদের সাথে বন্দীদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকবে। তার পরও সতর্কতা হিসেবে বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রতিটি কারাগার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত ৬৮ কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ১৬ জন।

সাক্ষাৎ বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একে তো সরকারি ছুটির কারণে মুভমেন্ট বন্ধ। মানুষজনও ওপেন মুভমেন্ট করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু আত্মীয়স্বজন শত চেষ্টা করে কারাগারে আসার পরও ফেরত গেছেন। এটা তাদের জন্য আরো ভোগান্তি হবে। তাই আগে থেকেই আমরা বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি। সার্বিক বিবেচনা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়ানোর জন্য এটা বন্ধ রাখা হচ্ছে। গতকাল ঢাকা বিভাগের একটি কারাগারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রতি বছর কারা কর্তৃপক্ষ দুই ঈদ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে কারাবন্দীদের জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা মুখরোচক খাবার (পোলাও গোশত মাছ) কারাগারে দেয়ার সুযোগ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই সুযোগ থেকে বন্দীর আত্মীয়স্বজনরা বঞ্চিত হবেন। তবে বন্দীর সাথে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকলেও প্রতি সপ্তাহে একজন বন্দী প্রতি মিনিট এক টাকা করে ৫ মিনিট মোবাইল ফোনে তার আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্প্রতি প্রতিটি কারাগারে এ নিয়মে মোবাইল ফোনে কথা বলার কার্যক্রম চালু হয়েছে।

গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, এ মুহূর্তে কারাগার এলাকায় বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আর ভেতরে যারাই প্রবেশ করছে তাদের প্রত্যেককে নিয়ম মেনে তার পর যেতে দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন বন্দী যারা যাচ্ছে তাদের রাখা হচ্ছে পৃথক ওয়ার্ডে।

এ দিকে কারা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গতকাল নয়া দিগন্তকে জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগারসহ দেশের বেশ কয়েকটি কারাগারে করোনা পজিটিভ ও আইসোলেশনে রয়েছেন মোট ৩৮ জন। সুস্থ হয়েছে ৭ জন আর হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩১১ জন।

Exit mobile version