বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘নিষ্পাপ কিশোর-তরুণদের ধরে নিয়ে নিরুদ্দেশ করা হচ্ছে। কোন দেশে বাস করছি। একাত্তরে এত রক্ত, এত ত্যাগের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই রাষ্ট্রের সন্তানদের তারা অদৃশ্য করে আনন্দ পাচ্ছে। তারা মনে করছে এদেরকে অদৃশ্য করে দিলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সফল হবে না। কিন্তু এই বিপুল জলতরঙ্গের মধ্যে কতজনকে গ্রেপ্তার করবেন, কতজনকে অদৃশ্য করে দেবেন?
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা আবার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। সরকারের চাপে পড়ে তারা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করেছেন। এত মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র বঞ্চিত, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে কী করে একতরফা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করলেন?
তিনি আরও বলেন, এই তপশিল ঘোষণার জন্য কি কোনোভাবেই বিবেকের চাপ অনুভব করেননি? চাকরি রক্ষা করাটাই কি সবচেয়ে বড় বিষয়? মানুষ আপনাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। মানুষ অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এই তপশিলকে। এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনারদের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।