Site icon The Bangladesh Chronicle

ইসলাম ধর্মে কোথাও লেখা নেই হিজাব সুন্নতি পোশাক

m.dailyinqilab.com

আলোচনা সভায় রাশেদ খান মেনন

স্টাফ রিপোর্টার | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

হিজাব-বোরকাতে বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বলা হচ্ছে হিজাব সুন্নতি পোশাক। ইসলাম ধর্মের কোথায় বলা আছে হিজাব সুন্নতি পোশাক? আমার জানা নেই। এটা সুন্নতি পেশাক নয়। কী হচ্ছে আজকে বাংলাদেশে। পার্বতীপুরে ১২টি মন্দির-প্রতিমা ভেঙে ফেলা হলো। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান ভাষা আন্দোলনে কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার অনবদ্য ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল)।

রাশেদ খান মেনন বলেন, যারা রাজাকার-আলবদরদের টুপির নিচে নিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই করে, তাদের সবক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে। এরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? এরা আমাদের বন্ধু হতে পারে না, বরং শত্রু। তাদেরকে সবক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, রবীন্দ্রনাথের কাটা মুণ্ডু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাওয়া গেলো। যদি বিএনপির আমলে এটি হতো, তাহলে বুদ্ধিজীবীরা এতক্ষণে রাস্তায় ১০টি মিছিল করতেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বিবৃতি দিতো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তায় নেমে পড়তো। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমি সাবাস দেই আমাদের ছাত্র ইউনিয়নের সেই ছেলেদেরকে, যারা এমন একটি প্রতিবাদী ভাষ্কর্য তৈরি করতে পেরেছে এবং সেটি ভেঙে ফেলার পর, আবার সাহস করে ভাঙা টুকরোগুলো কুড়িয়ে এনে পুনঃস্থাপন করতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, আমি জানি না একুশ ও ৬০ এর দশকের সাহস নিয়ে বর্তমান তরুণরা এগিয়ে আসবে কিনা? যদি না আসে, তাহলে আফগানিস্তানের থেকেও খারাপ অবস্থা দেখবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানে তো অন্তত আমেরিকানরা সৈন্য দিয়ে চুক্তি করে, রক্তের হলি খেলা ঠেকিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশে রক্তের হলি খেলা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। দেখা যাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। সেই আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন, তেমনি কমরেড তোয়াহাও ছিলেন। সেদিন বাংলাকে হিন্দুর ভাষা বলে আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাষা আন্দোলন সাম্প্রদায়িকতা, দক্ষিণপন্থা, দ্বি-জাতি তত্ত্বের বিরুদ্ধে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, আজকে যখন দেখি আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির হাতে চলে যাচ্ছে, তখন আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। একইসঙ্গে আমাদের শক্তি এতই কম যে, আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারছি না।

এম-এল এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, এম-এল এর পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড লুৎফর রহমান, সাইফুল হক মাস্টার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইমুম হক প্রমুখ।

 

 

Exit mobile version