Site icon The Bangladesh Chronicle

ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হুইপ ডিক ডারবিন এমন মন্তব্য করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সাথে বৈঠকে এমনটিই জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল- ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী সিনেটর ডিক ডারবিন।

১৪ মার্চ (বাংলাদেশ সময়) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিক ডারবিন নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিজের অফিসিয়াল এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাথে নিজের বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেনঃ

“বাংলাদেশের সাথে নিজের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য প্রশংসা করি আমি। কিন্তু, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা শেষ করতে ব্যর্থ হলে তা এই অংশীদারিত্বকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। জনাব ইমরানের সাথে বৈঠকে আমি অধ্যাপক ইউনূসের উপর হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসের ওপর সরকারের ক্রমাগত হয়রানি বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাস দেড়েক আগে গত জানুয়ারি মাসে যে ১২ জন মার্কিন সিনেটর চিঠি দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ডিক ডারবিন। চিঠিতে তারা বাংলাদেশে সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইলিনয়ের সিনেটর ডিক ডারবিনের ওয়েবসাইটেই ওই চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক পরই ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে কয়েক লাখ মানুষের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ থাকলেও সহিংসতা এবং বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে নির্বাচন এবং নির্বাচন–পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন যে চার মার্কিন সিনেটর তাদের মধ্যেও একজন ছিলেন ডিক ডারবিন।

Manabzamin

Exit mobile version