Site icon The Bangladesh Chronicle

ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীকে ইফতারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, স্ত্রী-স্বামী আটক

সিলেটের জৈন্তাপুরে ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী করোনাভাইরাসের কারণে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন৷ আসামিরা ভিকটিমের একই গ্রামের বাসিন্দা ও ২নং আসামি সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হয়। সেই সুবাদে ভিকটিম সিলেট থেকে বাড়িতে আসা যাওয়া করলে আসামি সুমি ভিকটিমকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গল্প গুজব করে। সম্পর্কে খালা হওয়ায় ভিকটিম সরল বিশ্বাসে তার বাড়িতে যাওয়া আসা করত। গত ২ মে সুমি ভিকটিমকে ইফতারের দাওয়াত দেন। কিন্তু ভিকটিম যেতে রাজী ছিলেন না। তখন সুমি ভিকটিমের মা-বাবাকে বলায় ইফতারের কিছুক্ষণ আগে তাদের বাড়িতে যায়। ইফতার শেষে কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত অনুমানিক ৮টার দিকে কৌশলে চায়ের সাথে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে ভিকটিমকে খেতে দেয় সুমি। চা খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়লে সুমি বেগমের সহায়তায় তার স্বামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং উলঙ্গ অবস্থায় মোবাইলে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে৷ ভিকটিমের জ্ঞান ফিরিলে আসামি কয়েছ আহমদকে পাশে দেখতে পায়। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করিলে আসামি কয়েছ মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির পর সেখান থেকে মুক্ত হয়ে তার মা-বাবাকে সব জানায়। তারা দ্রুত আসামিদের বাড়িতে যান এবং ঘটনা বিস্তারিত বলেন। এ সময় ভিকটিমের মা কৌশলে আসামির মোবাইল সংগ্রহ করে। ভিকটিম তার আত্বীয়-স্বজনের পরামর্শে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অন্যদিকে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৯ এর সহযোগিতায় শুক্রবার রাত দেড়টায় সিলেট থেকে কয়েছ আহমদ (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে (৩০) আটক করে৷

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, আসামি এই জঘন্য ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাকে সহযোগীতা করেছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তাকে আটক করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছি৷ আদালতের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাব৷

Exit mobile version