Site icon The Bangladesh Chronicle

আয়কর আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে এনবিআর

নয়া দিগন্ত অনলাইন

আয়কর আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে এনবিআর – ছবি : সংগৃহীত


আয়কর অধ্যাদেশকে সহজীকরণ ও কিছু পরিবর্তন করে আয়কর আইনের খসড়া প্রনয়ণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইনটি সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হয়।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রস্তাবিত এই খসড়া আইনটি অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য এনবিআর এর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। বর্তমানের আয়কর অধ্যাদেশটি ১৯২২ সালের। একশ বছরের পূরণো এই অধ্যাদেশটি এবার যুগোপযোগী এবং সহজীকরণ করে আইনে রুপান্তর করে খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।’

অধ্যাদেশটি আগে অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা এবং দুর্বোধ্যতা ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, এবার এটিকে বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে আইন রূপান্তর করা হয়েছে। এখন আইনটিতে করদাতা বান্ধব ও সহজ ভাষায় প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে করদাতা ও আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্টরা আইনটি সহজেই বুঝতে পারে।

মুনিম বলেন, আগের আইনে কোনও একটা বিষয় বুঝার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করা লাগত। এখন আইনটির একই বিষয়ের সকল বিধানাবলী একই জায়গায় সন্নিবেস করা হয়েছে। এতে করে আইনটির বিধানাবলী পরিপালন অনেক সহজ হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আইনের খসড়াটি চুড়ান্তভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপস্থাপনের আগে অংশীজনদের সাথে কর্মশালা ও সেমিনার করা হবে। পাশাপাশি আইনের খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত এনবিআর (আয়কর নীতি) সদস্য মো. আলমগীর হোসেন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এখন আয়কর আইনটিতে ব্যাংক হিসেবে স্বয়ংক্রিয় কর প্রত্যাবর্তনের (রিফান্ড) বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে তা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে করদাতার জন্য ই-কর ব্যবস্থাপনা বিধানও আইনের খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কর দাতাদের অফিসের আসার দুর্ভোগ পোহানো থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি সময় এবং খরচও কমে যাবে বলে জানান তিনি।

 

Exit mobile version