আ’লীগ দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে : আমীর খসরু

  • অনলাইন প্রতিবেদক
  •  ২৯ আগস্ট ২০২৩, ২১:৩২

ক্ষমতাসীন সরকারকে বিদায় করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভোট চুরির প্রকল্পের মধ্যে কোনোটা বাকি নেই। সবাইকে ঢুকিয়ে ফেলেছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না। সুতরাং এদেরকে বিদায় করতে হবে। তাদের বিদায়ের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের অতর্কিত গুলিবর্ষণে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। তন্মধ্যে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে দেখতে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাদেরকে গুলি করা হবে। তারা যখন রাস্তার পাশে কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেবে, সেখানে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে গুলি করতে হবে। সরকারের অবস্থান কি সেই পর্যায়ে গেছে? এখন মনে হচ্ছে সরকারের অবস্থান সেই পর্যায়ে গেছে। তাদের মধ্যে কিসের ভয় যে, সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে পারবে না? প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে তাদেরকে গুলি করতে হবে! তাহলে কোন দেশে আমরা বসবাস করি?

হামলা-গুলি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিদেশীদের কাছে বলবো কেনো? তারা নিজেরাই দেখছে। তাদের প্রতিনিধি আছে। দূতাবাস আছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে। বিশ্ব তো এখন আগের মতো নেই। এখন ঘটনা ঘটার সাথে সাথে সারা বিশ্ব জেনে যায়। আজকে সারা বিশ্ব কেনো বাংলাদেশের মানবাধিকার, নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে? কারণ পুলিশের যে আচরণ, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে বক্তব্য তাতে প্রমাণিত হয় যে, এদের অধীনে তো নিরাপত্তা মিলবে না। নির্বাচন তো দূরের কথা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে নির্বাচন পরের কথা। বাংলাদেশের পুলিশ বাংলাদেশে নাগরিকের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গুলি করছে। এটা কিসের পুলিশ।

আমীর খসরু বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীসহ বিশিষ্ট নাগরকদিরে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। আসলে একটা দেশের বিচার বিভাগ হলো সবচেয়ে নিরপেক্ষ। কিন্তু কোনো দেশের বিচার বিভাগ যখন মার্কিন ভিসানীতির আওতায় আসে, বিচারকরা যখন রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তখন সে দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা কী হবে? বহির্বিশ্বের ধারণা কী হবে? আজকে বিশ্বের ১৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করতে বিবৃতি দিয়েছেন।