গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে আটক নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি। দাবি করা হচ্ছে, তাদের ২৫ হাজার নেতাকর্মী নাকি জেলে আছে! জাতিসংঘকে দিয়েও দলটি বলাচ্ছে। লবিং (তদবির) ভালোই করে। লবিংয়ে ওস্তাদ এই দল।
যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচন নিয়ে দেশটির পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের উপদেশ দেয়। সুষ্ঠু নির্বাচন আগে নিজেরা করুন, তারপর উপদেশ।
বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভুয়া বানিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল। শোকে শোকে তারা পাথর হয়ে গেছে। শোকে পাথর হওয়া দলটির নেতাকর্মীর এখন ঘুম নেই। তারা আন্দোলন করবে, জনতার ঢল নামবে– এসব কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।
তিনি বলেন, বিএনপির এই মুহূর্তে আর কোনো আশা নেই। নিষেধাজ্ঞা নেই, ভিসা নীতিও নেই, আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে, তা অচিরেই বুঝতে পারবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মসূচি এখন কালো পতাকার মিছিল। এটা হলো শোক পালনের মিছিল। তাহলে তারা নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে- ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।
তিনি বলেন, অনেক ভোগান্তি এ দেশে হয়েছে। আন্দোলনের নামে মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। বিএনপি আন্দোলন করলে করুক, বাধা নেই। তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে, এটাই সিদ্ধান্ত আমাদের। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। আপনারা যত আন্দোলন করুন, আমাদের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।
ওবায়দুল কাদের পরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
সমকাল