Site icon The Bangladesh Chronicle

আমি আত্মসমর্পণ করেছি, র‍্যাবের গ্রেফতার অভিযান সাজানো নাটক: আদালতে সাহেদ

 


রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান শুরু হলে আমি র‍্যাব সদর দফতরে গিয়ে আত্মসমর্পণ করি। এরপর র‍্যাব আমাকে সাতক্ষীরা নিয়ে বোরকা পড়িয়ে ও কোমরে পিস্তল গুঁজিয়ে গ্রেফতারের শুটিং করে। তারপর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেয় আমি নাকি ব্রিজের নিচে নৌকায় পালিয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আদালতে এমন কথা বলেছেন মোহাম্মদ সাহেদ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ হাজির হয়ে তিনি এসব দাবি করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের উদ্দেশে সাহেদ বলেন, স্যার, আমাকে জামিন দেন। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমার মেয়েকে চোরের মেয়ে বলছে তার সহপাঠীরা। আমার স্ত্রীও বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। আমার বউকে সবাই চোরের বউ বলে ডাকে।

এ ব্যাপারে সাহেদের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেছেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে তার মক্কেল কথা বলেছেন। আদালতকে তিনি বলেছেন, তিনি নিজেই র‍্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়নি।

সাহেদের আইনজীবী আরও জানান, অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাহেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১২ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ বাবদ ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এ মামলায় ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে অন্তর্ভুক্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

জেডআই/

Exit mobile version