Site icon The Bangladesh Chronicle

আমানত ও ঋণে সুদহারের ব্যবধানের সীমা প্রত্যাহার

আমানত ও ঋণে সুদহারের ব্যবধানের সীমা প্রত্যাহারছবি: ফাইল
আমানতের সুদহার নির্ধারণে স্বাধীনতা পেল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ঋণের সুদহার যাই হোক না কেন, তারল্য ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যে কোনো হারে আমানত নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।

গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে সার্কুলার করে আমানত ও ঋণের সুদহার ব্যবধান বা স্প্রেড বাধ্যতামূলক ৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা-সংক্রান্ত আগের সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এর আগে গত জুলাই থেকে ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রায় পাঁচ মাস পর ব্যাংকগুলোকে নিজের মতো করে আমানতের সুদহার নির্ধারণের সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর ফলে নগদ অর্থের সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো বেশি হারে সুদহার ‘অফার’ করে আমানত নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। গতকালের সার্কুলারের আগে আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান সর্বোচ্চ ৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। দেশীয় ব্যাংকগুলো এমন নির্দেশনা মেনে চললেও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ ব্যবধান ৭ শতাংশের ওপরও উঠতে দেখা যায়।

নতুন সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, দক্ষ ঋণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালুর প্রেক্ষাপটে বাধ্যতামূলক আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধানের (স্প্রেড সীমা) অন্তনির্হিত উদ্দেশ্য ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ৩০ মে  ও ১২ জুন পৃথক দুই সার্কুলারের মাধ্যমে বিআরপিডি যেসব নির্দেশনা দিয়েছিল, তা রহিত করা হলো।

সুদহারের ব্যবধান তুলে দেওয়া হলেও ব্যাংক কর্তৃক ঋণ এবং আমানতের গড় সুদহারের ব্যবধান-সংক্রান্ত প্রতিবেদন যথাসময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আগের নির্দেশনা বহাল থাকবে।

সমকাল

Exit mobile version