রোববার দুপুর ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র-নাগরিকের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা বাকি। আমাদের যদি গুম করা হয়, খুন করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয়; যদি ঘোষণা দেওয়ার মতো কেউ না থাকে আপনারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আর যদি আমার ভাইদের বুকি গুলি করা হয়, আমার বোনদের কেউ আহত হয় আমরা বসে থাকব না। পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, মহল্লায় মহল্লায়, অলিতে গলিতে প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। যেখানেই হামলা হবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে মানি না। এখন থেকে দেশের নেতৃত্ব দেবে ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতার ঘোষণা চূড়ান্ত ঘোষণা। গতকাল ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা হয়েছে। আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে। আজকেও হামলা চলছে।’
আওয়ামী লীগ দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি করতে চায় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আজ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সরাসরি মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ দেশে একটা গৃহযুদ্ধ তৈরি করতে চায়। দেশটা একটা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্র-জনতা যেকোনো মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত। আজ লাঠি তুলে নিয়েছি। যদি লাঠিতে কাজ না হয় আমরা অস্ত্র তুলে নিতে প্রস্তুত। আপনারা প্রতিরোধ করুন, রুখে দাঁড়ান, সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ ছাড়া করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই খুনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার নিশ্চিত করব এই বাংলার মাটিতে। শাহবাগে আমরা এসেছি আজকে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে আমাদের অবস্থান জারি থাকবে। পুনরায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র এবার কোনো কাজে লাগবে না। যদি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া তবুও আমরা রাজপথে থাকব।
এদিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ আগামীকাল সোমবার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তিনি আগামীকাল সারাদেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
samakal