দেশের পরিস্থিতি আজ ভালো নেই। মানুষ চরম অশান্তির মধ্যে আছে। দলকে ভালোবাসেন। তাই দলের সঙ্গে একমত হয়ে এই আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছেন।
আলাপকালে আবুল কাশেম বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। দীর্ঘদিন পর দল সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েছে। এই আনন্দ আর ধরে রাখতে পারছিলেন না। মনপ্রাণ দিয়ে তিনি বিএনপিকে ভালোবাসেন। তাই ফরিদপুরের গণসমাবেশে যোগ দেবেন বলে তাঁরা কয়েকজন সিদ্ধান্ত নেন। ভয় কাজ করছিল, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পথে যদি কোনো ঝামেলা হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেন হেঁটে রওনা করবেন।
আবুল কাশেমের সঙ্গী হয়েছেন আশরাফ আলী খান (৭০)। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ি কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া চড়ে। কালুখালী সদর উপজেলা থেকে আরও প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রওনা করে উপজেলা সদরে আসেন। দলের অন্য সদস্যরাও সেখানে জড়ো হন। এরপর ১৫ জন একত্রে হেঁটে রওনা করেন। সমাবেশস্থলে আসতে তাঁদের শনিবার সকাল আটটা হয়ে যায়। শরীর কুলায় না বলে পথে পথে বিশ্রাম নিয়েছেন।
সমাবেশে আসার কারণ জানতে চাইলে আশরাফ আলী বলেন, দেশের পরিস্থিতি আজ ভালো নেই। মানুষ চরম অশান্তির মধ্যে আছে। দলকে ভালোবাসেন। তাই দলের সঙ্গে একমত হয়ে এই আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছেন। আশরাফ আরও বলেন, এলাকার অটোরিকশা ভাড়া করে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গাড়ি বন্ধ, পথে ঝামেলার আশঙ্কায় কোনো চালক আসতে রাজি হননি।