Site icon The Bangladesh Chronicle

আফগানদের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান

আফগানদের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান – ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে রশিদ খানের দল। শুক্রবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল তারা। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে একাধিক পরিবর্তন আনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বিশ্রাম দেয় তারা। তবে দ্বিতীয় সারির দলটাও কম শক্তিশালী নয়- ছিলেন ইফতেখার, শাদাব খান, নাসিম শাহদের মতো পরীক্ষিতরা।

অবশ্য শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি ইফতেখার, নাসিম শাহরা। শাদাব খানের নেতৃত্বে তরুণ একটা দল নিয়েই খেলতে নামে পাকিস্তান; অভিষেক হয় চারজনের। আরো তিনজন ছিলেন, যাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা মোহাম্মদ হারিসের; ৫ ম্যাচ!

যাহোক, তারুণ্য শক্তি এদিন কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৪১ রানেই ৫ উইকেট আর ৮০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯২ রান আসে স্কোরবোর্ডে।

এদিন পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম, যদিও বল খেলেন ৩২টি। তাছাড়া সাইম আইয়ুব ১৭, তইয়্যব তাহির করেন ১৬ রান। ১২ রান আসে অধিনায়ক শাদাব খানের ব্যাটে৷ মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট নেন মুজিবুর রহমান, ১২ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ নাবি আর ১৩ রানে ২ উইকেট যায় ফজলে হক ফারুকীর ঝুলিতে।

৯৩ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। অভিষেকের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান এহসানুল্লাহ, এক বল পর পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখাও। ক্যারিয়ারের প্রথম বলে ইবরাহিম জাদরান ও তৃতীয় বলে ফেরান গুলবাদিন নাইবকে।

পরের ওভারে আরেক ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান নাসিম শাহ; ১৭ বলে ১৬ রান করেছিলেন তিনি। তাছাড়া জাদরান ১১ বল থেকে ৯ রান করলেও ০ রানে আউট হন গুলবাদিন।

এদিকে মোহাম্মদ নাবি দায়িত্ব নিয়ে করিম জানাতকে সাথে নিয়ে দলের সংগ্রহ সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চালালেও বড় হয়নি এই জুটি। ১৬ বলে ৭ রান করে ফিরে জানাত। দলের সংগ্রহ তখন ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান।

জানাত ফিরে গেলেও হাল ধরে রাখেন নাবি, নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে গড়ে তুলেন হার না মানা ৫১ বলে ৫৩ রানের জুটি। যে জুটিতেই জয় নিশ্চিত হয় আফগানিস্তানের, ৬ উইকেটের জয় পায় তারা। ২৩ বলে ১৭ রান করে নাজিবুল্লাহ ও ৩৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাবি; ম্যাচ সেরাও হন তিনি।

Exit mobile version