২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। এই সময়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের ভাইদের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমের খবর, নিজেদের নামের পাশাপাশি মা-বাবার নামও বদল করেছেন আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ ও জোসেফ। হারিছ আহমেদ এনআইডিতে মোহাম্মদ হাসান এবং জোসেফ নাম পরিবর্তন করে লিখেছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও দুদক থেকে চিঠি পাওয়ার পর গত ৯ জুন বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসি সচিব শফিউল আজিম গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি জালিয়াতি করে, এনআইডি বাতিলের ক্ষমতা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকেরই (ডিজি) আছে।’
হারিছ-জোসেফের এনআইডি বাতিল হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের যারা এক্সপার্ট আছে, তাদের দিয়ে এটি নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন আমি পাওয়ার পর ডিজি এনআইডিকে দিয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি ফ্রড দেখা যায়, প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে করা হয়, তাহলে বাতিল হবে।’
এনআইডি সংশোধনে তাঁরা প্রক্রিয়ার বাইরে গেছেন কি না, জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, হ্যাঁ, প্রক্রিয়ার বাইরে তো গেছেনই। আবেদনে আজিজ আহমেদের সুপারিশ ছিল বলেও জানান তিনি।
Ajker Patrika