Site icon The Bangladesh Chronicle

আজব এক সেতু

 জেলা প্রতিনিধি  মানিকগঞ্জ
১৮ জুলাই ২০২৩

পাকা সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। সড়ক থেকে অনেক উঁচু। দুইপাশে ওঠার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। মাঝ রাস্তায় তৈরি এ সেতু কোনো কাজেও আসছে না স্থানীয়দের। অথচ অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে সেতুটি।

আজব এ সেতুর দেখা মিলবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায়। ঢাকা-মানিকগঞ্জ-ঘিওর সড়কের ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে সেতুটির অবস্থান। সেতুর নিচ দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে শত শত যানবাহন। এটি দেখতে অনেকটা উড়াল সেতুর মতো। উচ্চতাও অনেক। সড়ক থেকে আনুমানিক ৪০ ফুট উঁচু।

সেতুর পাশের চায়ের দোকানদার আজম মিয়া। তিনি জানান, অনেক মানুষ এসে সেতুটি সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্য দিতে পারেন না তারা।

আজম মিয়া বলেন, ‘সেতুটি কোনো উপকারে না লাগলেও ক্ষতি করছে ঠিকই। কারণ তিন রাস্তার মোড়ে সেতুটি থাকায় একপাশ থেকে অন্যপাশের যানবাহন দেখা যায় না। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’

কলেজছাত্র আরমান হোসেন বলেন, ‘সেতুটির নিচ দিয়ে আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি। এটি আসলে আজব এক সেতু। দুইপাশে ওঠার মতো কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কেউ কোনোদিন ওপরে উঠতে পারেননি। তবে বৃষ্টির সময় সেতুর নিচে আশ্রয় নেওয়া যায়।’

লিয়াকত হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘সেতুটি যখন নির্মাণ করা হয়েছে তখন কী পরিকল্পনা ছিল জানি না। তবে এটা যে সঠিক পরিকল্পনা ছিল না তা স্পষ্ট। অপরিকল্পিত প্রকল্পে সরকারের টাকা অপচয় করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস উল হাসান মারুফ জানান, তিনি যোগদানের অনেক আগেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সেতুর পাশেই একটি বেইলি সেতু আছে। তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ওই স্থান দিয়ে একটি নতুন সড়ক তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল। এজন্যই সেতুটি তৈরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। তবে সে সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অনেক ভালো বলতে পারবেন।

বি.এম খোরশেদ/এসআর/জেআইএম

Exit mobile version