Site icon The Bangladesh Chronicle

আইসিসিতে সাবেক হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম এ এ খান
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম এ এ খানছবি: বাসস

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম এ এ খান ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইসিসিতে সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনবে। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার গুমের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা করতে চান। এ আদালত শেখ হাসিনা ও তাঁর রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময় নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহি নিয়ে আলোচনায় করেন দুজন। করিম খান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে আইসিসি অফিস।

করিম খান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বানকে সমর্থন দেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে এই সম্মেলন আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ওই সম্মেলন থেকে সংকট সমাধানের একটি নতুন টেকসই দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীজনকে একত্রে বসিয়ে সংকট, বিশেষ করে বাংলাদেশে শরণার্থীশিবিরে থাকা রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুর্দশার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে সহায়তা করবে।

প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সুরক্ষিত অঞ্চল বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সহায়ক এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হবে।

ড. ইউনূস বলেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত করা উচিত। লড়াই বন্ধ হলে এই সুরক্ষিত অঞ্চলে থাকা মানুষ সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে।

prothom alo

Exit mobile version