Site icon The Bangladesh Chronicle

আইপিএলে দ্বিতীয় সেরা ডেলিভারি মোস্তাফিজের


আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। বৃহস্পতিবার তিনটি উইকেটই পান নিজের চতুর্থ ও ইনিংসের শেষ ওভারে। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং।

পাওয়ার প্লেতে কিপ্টে বোলিংয়ের পর ডেথ ওভারে দেখা গেল কাটার মাস্টারের বিধ্বংসী রূপ; দিল্লি ক্যাপিটালসের চাওয়া যেন শতভাগ পূরণ করলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

২০১৬ সালে নিজের অভিষেকের সময় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। আইপিএলে সেটিই ছিল ফিজের সেরা বোলিং। চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। এরপর টানা তিন ম্যাচে উইকেটের দেখা নেই। গত দুই ম্যাচে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার স্বরূপে ফিরলেন কাটার মাস্টার।

টসে জিতে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পান্ত বল তুলে দেন মোস্তাফিজের হাতে। ওয়াইড দিয়ে শুরু করলেও তার ওই ওভার থেকে একটি সিঙ্গেল ছাড়া আর কিছুই তুলতে পারেননি অ্যারন ফিঞ্চ-ভেঙ্কটেশ আইয়ার।

ওভারের দ্বিতীয় বলেই ইনসুইংয়ে পরাস্ত করেন ফিঞ্চকে। আম্পায়ার আউট দেননি। রিপ্লেতে দেখা যায় আউট দিলে আম্পায়ার্স কলের কারণে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারতেন না ফিঞ্চ।

পাওয়ার প্লে’র ষষ্ঠ ওভারে আবার আক্রমণে এসে ৫ রান দেন মোস্তাফিজ। তার ওই ওভারেও কোনো বাউন্ডারি আদায় করতে পারেনি কলকাতার ব্যাটাররা। নিজের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের খরচ ১০ রান। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে হজম করেন দুটি চার। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে ফিজ ছিলেন রীতিমত অপ্রতিরোধ্য। দ্বিতীয় বলেই রিংকু সিংকে রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ বানান। পরের বলে তার ইয়র্কারে পরাস্ত হয় উমেশ যাদব। রিভিউ নেন পান্ত। বল লেগস্টাম্পের বাইরে পিচ করায় নটআউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চেতন সাকারিয়ার হাতে ধরা পড়েন নিতিশ রান।

৬৫ বলে ৫৭ রান করা রানা ম্যাচে কলকাতার সেরা ব্যাটার। ফিজের পঞ্চম ডেলিভারিটা ছিল দেখার মতো। ১৩৯ কি.মি. গতির ইয়র্কারে টিম সাউদির লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে তাতে। তবে ষষ্ঠ বলটা ছিল ওয়াইড ইয়র্কার। ব্যাটার বল ছুঁতে পারেননি।

ওই ওভারে ২ রান দেয়ায় কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৪৬ রান। জবাবে খেলতে নেমে ৬ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যটা টপকে যায় দিল্লি। ১৬ বলে ৩৩* রানের ইনিংস খেলে দিল্লিকে জেতান রভম্যান পাওয়েল। মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা হন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব।

Exit mobile version