- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৫
অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর থেকে যে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে, সেটি চূড়ান্ত করতে আরো কিছু সংস্কার চেয়েছে সংস্থাটি।
ঋণ পাবার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করলেও আইএমএফ আরো কিছু সংস্কার চাচ্ছে।
আইএমএফ চায়, বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব আদায় আরো বাড়াক ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনুক। বাংলাদেশ সফরে এসে সোমবার সংস্থাটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্টোয়নেট এম সায়েহ সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন কথা জানিয়েছেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রোববার অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতে ৩০ জানুয়ারি ঋণ চূড়ান্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আভাস দিয়েছেন। একইসাথে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণে আইএমএফ-এর সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।
ঋণ সহায়তা ও শর্ত
কোনো দেশ বৈদেশিক রিজার্ভ নিয়ে সঙ্কটে পড়লে সাধারণত আইএমএফের দ্বারস্থ হয়। আর সংস্থাটি ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নীতিগত কিছু সংস্কারের শর্ত দেয়।
গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকে। একইসাথে শুরু হয় ডলারের সঙ্কট। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতন হয়। আর সেটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ওই সঙ্কট সামলাতে গত বছরের ২৪ জুলাই ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।
আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে। সেখানে আর্থিক খাতে সংস্কারে নানা শর্তের কথা উঠে আসে। পরে নভেম্বরে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশকে এই ঋণ দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঋণ দেয়ার জন্য মোটাদাগে তিন ধরনের শর্ত দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি উপশর্ত রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি