জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
তবে বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় রপ্তানি খাতকে চাঙা রাখতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ রপ্তানি সহায়ক তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বাড়তি সুদের কারণে তহবিল গঠনের তিন মাসেও ঋণসুবিধা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না রপ্তানিকারকেরা। মূলত রপ্তানিকারকেরা ডলারের মাধ্যমে গঠিত ইডিএফ থেকে ঋণ নিতে বেশি আগ্রহী।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ রপ্তানি সহায়ক তহবিল থেকে কারা ঋণ নিতে পারবে, সে ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর স্থানীয় রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয় পর্যায় থেকে সংগ্রহের বিপরীতে তহবিল থেকে অর্থায়ন করতে পারবে। সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক ক্যাটাগরিতে উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য এ তহবিল উন্মুক্ত থাকবে। তহবিলের অর্থ রপ্তানিকারকের ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যবহার করা যাবে। ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে স্থানীয় উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন। তবে এই তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার পর পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নতুন করে ঋণ পাবে না। নতুন ঋণের জন্য আগের ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে সৃষ্ট দায়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদে পরিশোধ করতে হবে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বিশেষ রপ্তানি সহায়ক তহবিল থেকে টাকা না দিয়ে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে রপ্তানিকারকদের ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া ঋণের সুদহার বেশি। ব্যাংকগুলো যদি রপ্তানিকারকদের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেয়, তাহলে এর ব্যবহার কয়েক গুণ বাড়বে। অথচ ইডিএফের মতো এই তহবিল ব্যবহার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি।’