Site icon The Bangladesh Chronicle

অর্থ উপদেষ্টা: ভারসাম্য রেখে এগোতে চায় সরকার

দেশে গত ১১ থেকে ১২ মাসে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি এবং ব্যবসার পরিধিও দ্রুত বাড়েনি। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে কর্মসংস্থানের গতি কিছুটা স্থবির ছিল বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার মতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল দায়িত্ব বেসরকারি খাতের, কারণ সরকারের পক্ষে কেবল সীমিত পরিসরে চাকরি দেওয়া সম্ভব।

সালেহউদ্দিন আহমেদ

মঙ্গলবার ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত ‘ডিএইচএল-দি ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস’-এর ২৩তম আসরে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কখনও কখনও দূরত্ব তৈরি হয়, তবে সরকার সবসময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে। তিনি উল্লেখ করেন, নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় জনপ্রিয় ধারণা অনুসরণ করা সম্ভব হয় না। কর কমানো বা বাড়ানো এবং নগদ প্রণোদনা দেওয়ার মতো বিভিন্ন অনুরোধ এলেও দেশের সামর্থ্য বিবেচনায় একটি ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ব্যবসাবান্ধব হতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেই ভবিষ্যৎ নিহিত। অতীতের মতো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বড় করপোরেশনের যুগ এখন শেষ হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীরাই ভালো কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।’

সম্প্রতি মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের এক সহ-সভাপতির সঙ্গে আলাপের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা শেভরন ও মেটলাইফের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ লাখ ডলারের বকেয়া পরিশোধ করেছি। এই অর্থ রপ্তানিকারক ও উদ্যোক্তাদের, যা পরিশোধের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের (এলডিসি) বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে সময় লাগলেও এখন থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও স্থানীয় বাজারের দিকে নজর রেখে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকার নীতিগত সংস্কার, প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং প্রাথমিক সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম এবং ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিয়ারুল হক।

Exit mobile version