এদিকে, সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও কয়েকটি বিরোধী দলের ডাকা দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি মোকাবিলায় রাজধানীর প্রবেশপথ ও অলিগলিতে চেয়ার বসিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা। বুধবার ভোর ছয়টা থেকে রাজধানীর প্রবেশপথ ডেমরা, সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী-বাবুবাজার ব্রিজ, মোহাম্মদপুর, আবদুল্লাহপুরে নাশকতা ঠেকাতে মাঠে সতর্ক অবস্থায় পাহারা দেয়া হয়। এ ছাড়াও অবরোধের প্রতিবাদে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ড নেতারা। ঢাকার প্রবেশপথ ডেমরার সুলতানা কামাল সেতুর পাশে (স্টাফ কোয়ার্টার) সকাল ৭টা থেকে পাহারা বসায় ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
এদিন অবরোধবিরোধী মিছিল কর্মসূচি পালন করেন ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে মশিউর রহমান মোল্লা সজলের নির্দেশে পাহারায় ছিলেন ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল ও ৬৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোহেল খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সকাল থেকে অবস্থান নেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর কর্মী-সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দেন ৪৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রবিন ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা জিয়াউদ্দিন জিয়া। পাশেই শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে অবরোধবিরোধী অবস্থান নেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। এতে নেতৃত্ব দেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন গেসু ও কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু।
এ ছাড়াও রাজধানীর জয়কালী মন্দিরের সামনে পুলিশের পাশাপাশি অবরোধবিরোধী অবস্থান নিয়ে সতর্ক অবস্থানে পাহারা দেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন। এতে নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা প্রতিরোধে নজর রাখেন। এদিকে অবরোধ প্রতিহত করতে রাজধানীর ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন সড়কে মিছিল-সমাবেশ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবারো চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে নেতাকর্মী নিয়ে সতর্ক অবস্থানে কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নান, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতা সিফাত সাদেকীন চপল, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা শারমিন রহমান কাকলী, ৫০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলো, সাধারণ সম্পাদক ইমন প্রমুখ।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ একইদিনে প্রতিনিধি সভা করে। তারা রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বিএডিসি সেচ ভবনের সামনে বিকাল ৩টায় কর্মসূচি পালন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন শাখা সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। এ প্রসঙ্গে এসএম মান্নান কচি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে। এদের প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ মাঠে আছে। তাদের কোনো অপচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না।