সরকার জনগনের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে নারাজ : মির্জা ফখরুল

Daily Nayadiganta

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর – ছবি : নয়া দিগন্ত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে `সরকার জনগনের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে নারাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

`এই অ্যাক্টের মধ্য দিয়ে সরকার চরমভাবে একনায়কতান্ত্রিক একটি সরকারের পরিণত হয়ে্ছে যারা কোনোভাবেই জনগনের যে নুন্যতম যে সাংবিধানিক অধিকার আছে তাকে সন্মান দিতে তারা রাজি নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি।আমরা আশা করি যে, সরকার এই সমস্ত হীন কর্ম থেকে বিরত থাকবে, সরে আসবে এবং জনগনের যে অধিকার সেই অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য জনগনকে সুযোগ দেবে।’

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না দেয়া এবং পুলিশি লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, `আজকে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাটিচার্জ, টিয়ার সেল এবং শর্টগান ব্যবহার করে প্রায় শতাধিক ছাত্র দলের নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। এখন অনেকেই হাসপাতালে চিকিতসা নিচ্ছে এবং এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হামলা থেকে আবারো প্রমাণিত হলো সরকার মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা দিতে নারাজ। তারা গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে।’

উল্লেখ্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র দলের এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য দেয়ার কথা ছিলো। তিনি সাড়ে ১১টার পর প্রেসক্লাব চত্বরে আসেন। এর আগেই পুলিশ সমাবেশ পন্ড করে দেয়।

শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরি উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।