Site icon The Bangladesh Chronicle

সরকারকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান ভিপি নুরের

বক্তব্য রাখছেন ভিপি নুর – ছবি : নয়া দিগন্ত

জনরোষের ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরণ ঘটার আগে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, সরকার যাই করুক না কেন তাদের হাতে এই দেশ আর নিরাপদ নয়।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ করে ঢাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘বর্তমান এই জনরোষের ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরণ ঘটার আগে আপনারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। বাংলাদেশের যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সেই চেতনার বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ব্যক্তিদেরকে নিয়ে আজকে আলোচনা করে কিভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা যায়, আইনের শাসন নিশ্চিত করা যায় এবং কিভাবে ভারতের পেট থেকে বাংলাদেশে বের হয়ে আসতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।’

নুর বলেন, ‘আমরা এখানে সরকার পতনের জন্য আসি নাই। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা নিজেরাই বিদায় নেন। আলোচনায় এসেছেন নোয়াখালীর ধর্ষক দেলোয়ার নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সারাদেশে এমন দেলোয়ার বাহিনী তৈরি করেছে। এই দেলোয়ার বাহিনী মা, বোন, স্ত্রীদেরকে নিয়ে ধর্ষণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যাই করুক না কেন তাদের হাতে এই দেশ আর নিরাপদ নয়। কাজেই আমরা বলবো, আপনারা যতই ছাত্রলীগ-যুবলীগ হয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেন না কেন জনগণ কিন্তু আজ রাজপথে নেমে গেছে। এই জনগণকে আর দমন করতে পারবেন না।’

নুর বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গুঞ্জন উঠেছে, ভারত ২০০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেন ঘটিয়ে এই তাঁবেদারী সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আজকে তারা আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন ঘটাতে চাচ্ছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই, সেটা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেটা কোনো ওয়ান-ইলেভেন করে নয়। যদি আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন হয় তাহলে বাংলাদেশে যে অবশিষ্টটুকু আছে সেটুকু আর থাকবে না। তাই সরকারকে অনুরোধ করবো, আপনারা নিজ থেকে বিদায় নেন।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version