শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতল পাকিস্তান

নয়া দিগন্ত অনলাইন | ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৩, আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৪৪

সিরিজের ৩ ম্যাচই জিতল পাকিস্তান। – ছবি : এএফপি

একাদশে তিন পরিবর্তন আনলেও ভাগ্যের চাকা খোলেনি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশের লজ্জাই পেল স্বাগতিক শিবির। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। ফলে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি জিতল বাবর আজম শিবির।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। ৬ বলে দরকার ছিল ৮ রান। মাহমুদউল্লাহ প্রথম বলে দেন ডট। এরপর টানা দুই বলে আউট করেন সরফরাজ ও হায়দার আলীকে। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান ইফতিখার আহমেদ। পঞ্চম বলে বিদায় ইফতিখার। শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। মোহাম্মদ নওয়াজ হাঁকান চার।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা দেখেশুনে। আগের দুই ম্যাচে ভালো করতে না পারা বাবর আজম এদিন আভাস দিচ্ছিলেন বড় ইনিংসের। কিন্তু দলীয় ৩২ রানে তাকে থামান লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

আপাতত দৃষ্টি বলটি ছিল সাদামাটা। পড়েছিল অনেকটা মাঝ পিচে। তবে যতটা আশা করেছিলেন বাবর ততটা ওঠেনি। বেশ নিচু হয়ে যাওয়া বলে টাইমিং করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ২৫ বলে দুই চারে ১৯ রান করে ফেরেন বাবর।

এরপর অবশ্য পাকিস্তানকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলী। ধীর লয়ের ব্যাটিংয়ে এই জুটিতে আসে ৪৯ বলে ৫১ রান। অবশেষে দলীয় ৮৩ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙেন অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামা শহিদুল ইসলাম। বোল্ড করেন দেন পাক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ৪৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করেন রিজওয়ান।

শেষের দিকে শহিদুলের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে আসে উত্তেজনা। ১২ বলে পাকিস্তানের দরকার ১৫ রান। শহিদুল দেন মাত্র সাত রান। শেষ ওভারে দরকার পড়ে তখন ৮ রান। নানা নাটকীয়তায় ম্যাচ জেতে পাকিস্তান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় সাত রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে ভালো করা নাজমুল হোসেন শান্ত। অভিষিক্ত শাহনাওয়াজের বলে বোল্ড হন তিনি। ৫ বলে ৫ রানে ফেরেন তিনি। এরপর নাঈমের সাথে জুটি বাঁধেন একাদশে জায়গা পাওয়া শামীম হোসেন।

এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৩৭ রান পর্যন্ত। ভালো খেলতে শামীম ২৩ বরে চারটি চারে ২২ রান করে উসমান কাদিরের বলে ক্যাচ দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে। আফিফের সাথে জুটি বেশ ভালো জমে যায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের। দুজনই রানের চাকা সচল রাখেন ভালোমতোই। তবে এদিনও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। দলীয় ৮০ রানে আফিফ ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ২০ বলে ২১ রান করে ফেরেন তিনি।

দলীয় ১১১ রানের মাথায় তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড তিনি। ৫০ বলে তিনি করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রান। তার ইনিংসে ছিল দুটি করে সমান চার ও ছক্কা।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাকি সময়টা কাজে লাগাতে পারতেন। কিন্তু পারেননি। ১৪ বলে এক চারে ১৩ রান করে তিনি হ্যারিস রউফের শিকার। এরপর এক চার হাঁকিয়ে বিদায় নুরুল হাসান সোহান। ২ বলে তিন রান করেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান।

বল হাতে ৪ ওভারে ১৫ রানে দুটি উইকেট নেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। উসমান কাদির দুটি, হারিস রউফ ও শাহনাওয়াজ দাহানি পান একটি করে উইকেটের দেখা।