Site icon The Bangladesh Chronicle

বাংলাদেশ_কেন_ইন্ডিয়ার_শত্রু_রাষ্ট্র???

বাংলাদেশ_কেন_ইন্ডিয়ার_শত্রু_রাষ্ট্র

by Defence Research Forum (Facebook entry)   1 October 2019

রিপোস্ট: ভারতীয় কোন এক রাজনীতিবিদ বলেছিল বাংলাদেশ তাদের শত্রু। এর প্রেক্ষিতে পোস্ট টি লেখা। আজ রিপোস্ট করলাম।

আমার মতামত দিচ্ছি। আপনাদেরটাও দেন যদি কোনটা বাদ থাকে।

১. বাংলাদেশ শত্রু রাষ্ট্র কারন বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার কথা না শুনে চীনের কাছ থেকে মিং ক্লাস সাবমেরিন কিনেছে। বহু চেষ্টা তদবির করেও লাভ হয়নায়।

২. বংগবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানোর আগে ইন্ডিয়া প্রেশার দিয়েছিল যাতে আমরা স্যাটেলাইট না পাঠায়। প্রশ্ন তুলেছিল আমরা স্যাটেলাইট দিয়ে কি করব? কিন্তু বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এরপর ইন্ডিয়া অনেক কিছু ছাড় দিয়ে কইছে, তোদের পাঠানো লাগবে না আমাদেরটা ব্যাবহার করিস। তাও শোনেনি। এরপর কইছে যদি পাঠাতেই হয় তাইলে আমাদের দায়ীত্ব দে, আমরা পাঠায় দিমু। কিন্তু খ্রাপ বাংলাদেশ ফ্রান্সের সাথে চুক্তি করছে। দিশেহারা ভারত বলছে ভাই, তোরা থাম। আমরা সার্ক স্যাটেলাইট পাঠাইতেছি। তোরা বিনা মুল্যে ব্যাবহার করিস। বাংলাদেশ কইছে অতি উত্তম প্রস্তাব। তবে আমাদের মোট ৩ টা স্যাটেলাইট লাগবে। তাই সার্ক স্যাটেলাইটের সাথে আমরা আছি এবং বংগবন্ধু স্যাটেলাইট ও চলবে। উল্লেখ্য বংগবন্ধু স্যাটেলাইট এই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী স্যাটেলাইট এর একটা। ৪০ টা ট্রান্সপন্ডার থাকবে। পুরা ইন্ডিয়া কাভার তো করবেই সাথে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনামো আমাদের আওতায় আসবে। এডা কিছু হইলো কন?

৩. পরমাণু প্রকল্প হাতে নেওয়া। ইন্ডিয়া চাইছিল তাদের সাহায্যে এটা করতে। কিন্তু করেছি রাশিয়ার সাথে। যদিও পরে অনেক কাহীনি করে এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে তারা।

৪. পায়রা বন্দর ইন্ডিয়া, চীন সহ অনেক দেশ চাইছিল করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ কি করল? $২২ বিলিয়নের পুরা প্রজেক্ট খন্ড খন্ড করে, কিছু অংশ চীন, সামান্য অংশ ইন্ডিয়া, কিছু ব্রিটিশ, আর নেদারল্যান্ডের ভেতর বন্টন করে দিল। বলেন কার মেজাজ ঠিক থাকে?

৫. ২০০৮ -০৯ পর্যন্ত ইন্ডিয়া ছিল বাংলাদেশের সব থেকে বড় ট্রেড পার্টনার। ২০০৮ এর আগে আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের সব থেকে বেশি হত ভারতের সাথে। আর পুরো লেনদেনে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব বাজে ভাবে ছিল। আর এখন???? চীন। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারতের সাথে বাণিজ্যের প্রায় দ্বিগুন। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়তেছে। কিন্তু চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য যত দ্রুত বাড়তেছে তার ধারে কাছেও নাই ভারত। তাইলে বাংলাদেশ ভারতের শত্রু হবে না ক্যান কন?

৬. ক্রমান্বয়ে হটাৎ করে বাংলাদেশ অস্ত্র আমদানি বাড়ায় দিছে। চীনের আর্মস এক্সপোর্ট মার্কেটের দ্বিতীয় বৃহৎ পার্টনার হয়ে গেছে বাংলাদেশ। অথচ বন্ধু দেশ হিসাবে তারা বার বার অস্ত্র বেচতে চাইল, কিন্তু বাংলাদেশ কিনল না? এটা কি ঠিক হইছে আপনারাই বলেন? শেধে বাংলাদেশকে $৫০০ মিলিয়নের চুক্তি ধরায় দিল। বাংলাদেশ চুক্তি না করে করল এমওইউ। এক পয়সার ভারতীয় অস্ত্র ও আসল না। এটা কি মেনে নেয়া সম্ভব?

৭. বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে তারা তো হিসাবে ফ্রিতেই পায় সব। কিন্তু সব বড় বড় প্রকল্প চীনকে দেওয়ার মানেটা কী? বিলিয়ন ড়লারের প্রকল্প কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠান কাজ পাচ্ছে না। প্রতিবেশির হক আদায় করেনি বাংলাদেশ। শুধু ভারতের এলওসি এর অধীন প্রকল্পে ভারত কে কাজ দেয়া হল। এটা কি অবিচার না?

৮. ট্রানজিট দিছে তো কি হইছে? এটা তো তাদের অধিকার। শুধু বাংলাদেশ নেপালে এক্সেস চাইছে সেটা না। তবে সম্প্রতি নেপালে ট্রানজিট দেয়া লেগেছে বাংলাদেশ কে৷ এত বড় একটা স্যাক্রিফাইস করেছে অথচ চীনের কাছে পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এটা ঠিক? এমনকি যেই নেপালে বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিয়েছে সেই নেপালেও চীনের আধিপত্য বেড়ে চলেছে। বেদনার পৃথিবী।

৯. চীনের অন বেল্ট অন রোড প্রকল্পে বাংলাদেশ ক্যান জড়াবে? শুধু জড়ায়নি, শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ বলছে এটা তাদের ট্রেডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোন যুক্তি হইলো। পররাষ্ট্র সচিব কে দিল্লিতে নিয়ে কত কথা শুনায় দিল তাও লাভ হইল না। শত্রু ছাড়া এমন করে কেউ?

১০. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা পেতে এত হুমকি ধামকি দিল। কিন্তু বাংলাদেশ চীনকে বানায় দিল। প্রতিবেশি হিসাবে বাংলাদেশ তার দায়ীত্ব পালন করেনি তাই।

বি:দ্র: আরো অনেক আছে। সব লেখা সম্ভব হইনি।
শিক্ষা: কিছু মানুষ আজীবন বলে বেড়াবে দেশ বেচে দিছে। একেকটা উপলক্ষ আসবে আর গুজব ছড়াবে দেশ বেচার চুক্তি ফাইনাল।

#wasimahin

Exit mobile version