Site icon The Bangladesh Chronicle

প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিইসি চিকিৎসার খরচ নিয়ে কথা বলেছেন : মাহবুব তালুকদার

মাহবুব তালুকদার – ফাইল ছবি

নির্বাচন বিষয়ে ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন- এমনটাই বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

এ সময় তিনি বলেন, সিইসি খরচের প্রকৃত হিসাব দেননি এবং তিনিও চিকিৎসার খরচ নিয়ে থাকেন।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন এ মাহবুব তালুকদার।

এ আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে মাহবুব তালুকদারকে একজন ‘রোগাক্রান্ত ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি বলেন, ‘তিনি (মাহবুব তালুকদার) কখনো আইসিইউতে, কখনো সিসিইউতে থাকেন। সিঙ্গাপুরে ট্রিটমেন্ট (চিকিৎসা) করেছেন, ভারতে ট্রিটমেন্ট করেছেন। বছরে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার ট্রিটমেন্ট করেন, এটা নির্বাচন কমিশন বহন করে থাকে।’

সিইসির সেই বক্তব্যের জের ধরে বিবৃতিতে মাহবুব তালুকদার বলেন, সিইসি খরচের প্রকৃত হিসাব দেননি। ইচ্ছা করলেই কেউ আইসিইউ বা সিসিইউতে থাকেন না।

নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানান মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ক্যান্সার ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড দুই দফা শারীরিক পরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন।’

কে এম নূরুল হুদা নিজেও নির্বাচন কমিশন থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। তবে গত দুই বছরে আমি চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে বিদেশে যাইনি, বরং এই দুই বছরে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ নিজের খরচে আমি আমেরিকায় গিয়েছি।’

বর্তমানে কর্মরত নির্বাচন কমিশনাররা এবং অবসরপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনাররা সবাই প্রাপ্যতা ও বিধি অনুযায়ী কমিশন থেকে চিকিৎসার খরচ নিয়ে থাকেন বলেও জানান মাহবুব তালুকদার।

Exit mobile version