Site icon The Bangladesh Chronicle

চীনা ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি

প্রথম আলো

অনলাইন ডেস্ক
২৪ মে ২০২০

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা এগিয়ে চলেছে। ছবি: রয়টার্সমার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্না কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম দফার পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল প্রকাশের পরপরই গত শুক্রবার চীনের গবেষকেরাও ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর প্রকাশ করেছেন।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার গবেষকরা জানিয়েছেন যে চীনে তৈরি একটি ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে এবং মানুষকে মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে।

গবেষকেরা চীনের কয়েকটি পরীক্ষাগারে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০৮ জন ব্যক্তির মধ্যে এ পরীক্ষা চালান।বোস্টনের বেথ ইসরায়েল ডিকনস মেডিকেল সেন্টারের ভ্যাকসিন গবেষণার পরিচালক ড. ড্যানিয়েল বারাউচ, যিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি আশাব্যঞ্জক তথ্য। তবে যোগ করেছেন, এটি প্রাথমিক তথ্য।

বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি গবেষক দল একটি ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। তাঁরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসাবে বিবেচিত ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছেন, যা বিশ্বব্যাপী ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।

সোমবার মডার্নার প্রকাশিত ইতিবাচক ফলাফল ছাড়াও ড. বারাউচ ও তাঁর দল সম্প্রতি একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যাতে দেখানো হয়েছে তাঁদের প্রটোটাইপ ভ্যাকসিন বানরকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য পর্যায়ের মানব পরীক্ষায় প্রবেশ করা এখন একটি মানব ভ্যাকসিন পরীক্ষার ফলাফল বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী, ভ্যাকসিনটি এডি ৫ নামের একটি ভাইরাস থেকে তৈরি, যাকে মানুষের কোষে জিনগত নির্দেশনা বহন করার উপযোগী করে সংশোধন করা হয়।

এতে কোষ করোনাভাইরাস প্রোটিন তৈরি করে। ফলে আমাদের প্রতিরোধী ব্যবস্থা এ প্রোটিনকে চিনতে শিখে যায় এবং আক্রমণ করে। এতে শরীরে করোনাভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না।

বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ন্যাশনাল স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিন ড. পিটার হোটেজ বলেন, চীনের গবেষকরা দেখেছেন যে, এডি৫ অ্যান্টিবডি যাঁদের রয়েছে, তাঁদের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের শক্তিশালী প্রতিরোধের সম্ভাবনা কম দেখা যায়। এটি এই ভ্যাকসিনের ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। ভ্যাকসিনের ফলাফল অল্প সময় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং এটির সুরক্ষা কত দিন স্থায়ী হতে পারে তা স্পষ্ট নয়।

এ ছাড়া গবেষকরা তিনটি ডোজ পরীক্ষা করে বলেছেন, সর্বোচ্চ ডোজ সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে হয়েছে। তবে যেসব ব্যক্তি সর্বোচ্চ ডোজ পেয়েছেন, তাঁরাও সর্বাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো—যেমন, ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা, জ্বর, অবসন্নতা, মাথা ব্যথা ও পেশির ব্যথা অনুভব করেছেন।

Exit mobile version