চট্টগ্রাম টেস্ট : শেষ দিনে রোমাঞ্চের আভাস

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১৮ মে ২০২২, ২০:১৪

ম্যাচের চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। – ছবি : এএফপি

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ। বাকি মাত্র এক দিন। পরিস্থিতি যা, তাতে পঞ্চম দিনে আগাম আভাস দিচ্ছে দারুণ রোমাঞ্চের। ম্যাচ ড্র হবে নাকি জিতবে বাংলাদেশ, তা নির্ভর করছে শেষ দিনের খেলার উপর। হয়তো দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছে স্বাগতিকদের জন্য।

প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করেছিল ৩৯৭ রান। জবাবে তামিম ও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ৪৬৫ রান করে বাংলাদেশ। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে দলটির সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯ রান। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের শেষ দিনে বাকি আট উইকেট দ্রুত তুলে নিতে পারলে জয়ের আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। তবে ক্রিজে লঙ্কান ব্যাটাররা যদি থিতু হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ম্যাচ গড়াবে ড্রয়ের দিকে, তা অনুমেয়।

মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশে রান ছিল ৩ উইকেটে ৩১৮ রান। মুশফিক ৫৩ ও লিটন ছিলেন ৫৪ রানে অপরাজিত। চতুর্থ দিনে শুরুটা মন্থর গতিতে আগান দুজন। একসময় দুজনই পৌঁছান ৮০’র ঘরে। তখন বিপদ আসে। দলীয় ৩৮৫ রানের মাথায় রাজিথার বলে ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ১৮৯ বলে ১০ চারে ৮৮ রান করে ফেরেন তিনি।

পরের বলেই বোল্ড তামিম ইকবাল। আগের দিন তিনি ছিলেন রিটায়ার্ড হার্ট। এদিন মাঠে নেমে বলই বুঝতে পারলেন না। হয়ে যান বোল্ড। রান তার আগেরটাই, ১৩৩।

সাকিবের সাথে মুশফিকের জুটিও দারুণ হচ্ছিল। তবে মেজাজ হারিয়ে আউট হন সাকিব। ফার্নান্দোর বলে হাঁকাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৪৪ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

তবে মুশফিক ছিলেন অটল। ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি হাকাতে মুশফিক বল খেলেছেন ২৭০টি। এর মধ্যে বাউন্ডারি ছিল মাত্র চারটি। তার মানে ক্রিজে এই গরমের মধ্যে কতটা ধৈর্য নিয়ে খেলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় ফার্নান্দোর বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে শতক পূর্ণ করেন তিনি।

সেঞ্চুরি পরপরই বিদায় নেন মুশফিক। এম্বালদেনিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। নামের পাশে তখন ১০৫ রানের মূল্যবান ইনিংস। ২৮২ বলের ইনিংসে মুশফিক হাঁকান মাত্র চারটি চার, নেই কোনো ছক্কা। মুশফিকের ক্যারিয়ারে মন্থরগতির সেঞ্চুরি এটি।

মুশফিকের বিদায়ের পর টেল এন্ডারদের মধ্যে লড়েছেন নাঈম ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। ৫৩ বল খেলে ৯ রান করে বিদায় নেন নাঈম। ৪৫ বলে তিন চারে ২০ রান করে ফার্নান্দোর শিকার তাইজুল। শরিফুল ইসলাম ১১ বলে তিন রান করার পর আহত হন। ব্যাটিং করতে পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪৬৫ রানে।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি উইকেট নেন বিশ্বর কনকাশন সাব কাশুন রাজিথা। আসিথা ফার্নান্দো তিনটি, লাসিথ ও ধনাঞ্জয়া নেন একটি করে উইকেট।

দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানি ছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দলটি। তাইজুলের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন ফার্নান্দো, ৩৬ বলে ১৯ রান করে। দিনের শেষ ওভারের প্রথম বলে আবারো তাইজুল চমক। দারুণ টার্নে বোল্ড করে দেন লাসিথ এমবুলদেনিয়াকে (২২ বলে ২ রান)। ৪৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে।