বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী জানিয়েছেন, গত বছরে (২০১৯ সাল) বিজিএমই’র আওতাধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এই বন্ধের কারণে ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।
তবে বিকেএমই’র অধীনে থাকা কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি। এ সংস্থার অধীনে থাকা ২২শ’ কারখানার মধ্যে ৯২০টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। সদস্যপদ নবায়ন না করায় ১২৮০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রফতানি আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে কারখানাগুলো পুনরায় সক্রিয় হতে পারবে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত বেগম শামসুর নাহারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, চাকরি হারানো শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির আওতায় এই কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর অধীন তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যতে কাজ করবে এমন জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩.৩০ লাখ টন। এই পণ্যের উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সময়ে ৩০-৩৫ শতাংশ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের মানের ভিন্নতা অনুসারে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাবারে অনুপযোগী পেঁয়াজ বাদ দিলে নিট উৎপাদন ১৫.১৪ লাখ মেট্রিক টন। ফলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮-৯ লাখ টন।
মন্ত্রী বলেন, ফেব্র“য়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে বীজ উৎপাতিত পেঁয়াজ সংগ্রহের মৌসুম। মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্য স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুন্সী বলেন, বর্তমানে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। বর্তমানে আরও ৬টি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির সদস্য। এছাড়া ৯টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস, মালদ্বীপ. পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। মমতা হেলা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের ২২ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার কথাটি সঠিক নয়।