Site icon The Bangladesh Chronicle

খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম: ৫ রানে ৪ উইকেট মোস্তাফিজের

খুলনার বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ থেকেই ফর্মে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে আগের ম্যাচেও নিয়েছেন ২ উইকেট। আজ জেমকন খুলনার বিপক্ষে দেখা গেল পুরোনো মোস্তাফিজকে। বল তুলেছেন, কাটারেও ধার ছিল, সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথ। মোস্তাফিজ যখন এভাবে বল করেন, তখন প্রতিপক্ষের কী হতে পারে? স্কোরকার্ড নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানা—খুলনা মাত্র ৮৬ রানে অলআউট। তাড়া করতে নেমে ৩৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। নিজেদের আগের ম্যাচেও বেক্সিমকো ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল মিঠুনের দল।

খুলনার ইনিংসে ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিলেন মোস্তাফিজ। চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন মোস্তাফিজকে আজ বুদ্ধি খরচ করে ব্যবহার করেছেন। জাতীয় দলের এই পেসারের বাকি ৩ ওভার ব্যবহার করেছেন খুলনার ইনিংসে শেষ ১০ ওভারের মধ্যে। ১৪তম ওভারে শামীম হোসেনকে তুলে নিয়ে শিকারের শুরু করেন জাতীয় দলের পেসার। ওই ওভারে ১ রানে নেন ১ উইকেট। পরের ওভারেও ২ রানে আরও ১ উইকেট নিয়ে খুলনার ব্যাটিংয়ের ‘লেজ’ মোড়ানো শুরু করেন তিনি। এরপর ১৮তম ওভারে এসে খুলনার শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন ৫ বলের মধ্যে। ওই ওভারে কোনো রান দেননি।

সেই পুরোনো মোস্তাফিজকে দেখা গেছে আজ। 
ছবি: প্রথম আলো

মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ৩.৫-০-৫-৪। কত দিন পর এমন বোলিং ফিগার তাঁর নামের পাশে দেখা গেল, সেটি গবেষণার বিষয়। তবে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজই সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৪ উইকেটের দেখা পেলেন এ সংস্করণে। খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১ রান এসেছে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। সাকিব আল হাসান আজ ব্যাটিংয়ে নামার পজিশন পাল্টেও সুবিধা করতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে ৭ বল খেলে আউট হয়েছেন ৩ রানে। তবে এর মধ্য দিয়েই একটি নজির গড়লেন তিনি।

ব্যাট হাতে আজও ভালো করতে পারেননি সাকিব। 
ছবি: প্রথম আলো

তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৫ হাজার রানের কোটা ছুঁয়েছেন সাকিব। ডোয়াইন ব্রাভো ও আন্দ্রে রাসেলের পর তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ৫ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। ৩ রানের ইনিংস দিয়েই ৫ হাজার রানের কোটা ছুঁয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ৩৫৫।

খুলনার ভীষণ সাদামাটা স্কোর তাড়া করতে নেমে রঙিন ব্যাটিং করছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। উইকেটের চারপাশেই স্ট্রোক খেলেছেন লিটন। সৌম্য সে তুলনায় টাইমিংয়ের সমস্যায় একটু ভুগেছেন। ২৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি। ৪৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। ৯টি চার মারেন তিনি। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক।

Exit mobile version