- খেলাধুলা প্রতিবেদক
রায়পুরে রানের পাহাড় গড়েও শেষ রক্ষা হলো না ভারতের। বিরাট কোহলি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের জোড়া সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৫৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এইডেন মারক্রামের দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৪ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরল।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই টপ অর্ডার ব্যাটার কোহলি ও গায়কোয়াড় তৃতীয় উইকেটে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কোহলি ৯৩ বলে ১০২ রান করে থামেন। অন্যদিকে, ৮৩ বলে ১০৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন গায়কোয়াড়। শেষদিকে লোকেশ রাহুলের অপরাজিত ৬৬ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
জয়ের জন্য ৩৫৯ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের; ওপেনার কুইন্টন ডি কক মাত্র ৮ রানেই বিদায় নেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন মারক্রাম। ৪৮ বলে ৪৬ রান করে বাভুমা ফিরে গেলে ম্যাথিউ ব্রিটজকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মারক্রাম। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে জীবন পাওয়া মারক্রাম সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগান। ভারতীয় বোলারদের শাসন করে তিনি ৯৮ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস উপহার দেন, যা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
মারক্রাম আউট হওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও ম্যাথিউ ব্রিটজ। ব্রিটজ ৬৪ বলে ৫ চারে ৬৮ এবং ব্রেভিস মাত্র ৩৪ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয়ের পথ সহজ করেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৯২ রানের জুটি ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেয়। শেষ দিকে করবিন বশ ১৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। কেশভ মহারাজ অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
৪৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ভারতের বিপক্ষে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়াও ৩৫৯ রান তাড়া করে জিতেছিল। প্রথম ওয়ানডেতে ভারত জিতলেও, এবার জিতে সিরিজ জমিয়ে তুলল প্রোটিয়ারা। আগামী শনিবার বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ।









