Site icon The Bangladesh Chronicle

কেউ মানছে না সরকারি মূল্যবিধি

 

চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

https://www.ittefaq.com.bd/660431

ছবি: ইত্তেফাক

রাজশাহীর চারঘাটের হাটবাজারগুলোতে সরকারি মূল্যবিধি উপেক্ষা করে বাড়তি দামে বিক্রয় হচ্ছে নিত্যপণ্য। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় সরকারের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে আলু, পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম। অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান চান সাধারন ভোক্তারা।

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার দাম বেঁধে দিলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় প্রায় কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছে। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য মৌসুমী সবজি। কোল্ডস্টোরেজ গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৩৮ টাকা দরে আমাদের কিনতে হচ্ছে, এর সঙ্গে পরিবহন খরচ, পচন এগুলো যোগ করে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট কেজি প্রতি ৪০-৪১ দরে বিক্রয় করছি বলে জানিয়েছেন চারঘাট বাজারের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী সুমন। পাইকারি পর্যায়ে আলুর দাম না কমলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে শুক্রবার সকালে উপজেলার কয়েকটি বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই সংবাদদাতা কথা বলে জানতে পেরেছেন, কেজি প্রতি আলু বিক্রয় হচ্ছে ৪৫ টাকা, আমদানিকৃত পেয়াঁজ ৬৫ টাকা, দেশি পেয়াঁজ ৮০ টাকা ও ডিম ১২-১৩ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেয়াঁজ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ টাকা, আলু ১০-১৫ টাকা ও ডিম ১ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

চারঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সবজি ব্যবসায়ী চানঁ মিয়া বলেন পাইকারি বাজারে আলু ও পেয়াঁজ বেশি দামে কেনার জন্য খুচরা বাজারে তাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তবে আড়ৎ এই দাম কম থাকলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারবো বলে তিনি দাবি করেন। তবে ক্রয় ভাউচার দেখতে চাইলে বেশির ভাগ সবজি ব্যবসায়ীই সেটা দেখাতে ব্যর্থ হন। একই চিত্র দেখা যায় উপজেলার সারদা বাজার, নন্দনগাছি বাজার, কাকঁড়ামাড়ী বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে।

এদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরামতপুরের ভ্যান চালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অতিরিক্ত দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা থাকা সত্বেও আমাদের স্বল্প পরিমাণে কিনতে হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ কি? তাই স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের উচিত এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া।’ এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরির লক্ষ্যে পেঁয়াজ ও আলু মজুদ করে রাখছে বলেও জানান স্থানীয় একজন ক্রেতা।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানজুরা মুশাররফ বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের সরবরাহের সুযোগ নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে অথবা অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য পণ্যে বিক্রয় করলে উপজেলা সব হাটবাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এইচএ

Exit mobile version