Site icon The Bangladesh Chronicle

সংগ্রাম সম্পাদককে জামিন দেননি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ

সংগ্রাম সম্পাদককে জামিন দেননি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ। – ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে জামিন দেননি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।

আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

এ বিষয়ে শিশির মনির জানান, আদালত জামিন দেননি। আবেদনটি নিয়ে নিয়মিত বেঞ্চে (ছুটি শেষে আদালত খোলার পর) যেতে বলেছেন।

গত ৫ মে কারাবন্দী দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বরাবরে আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ ৮০ বছর বয়স্ক একজন প্রবীণ নাগরিক। গত ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন তিনি শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া তিনি ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমান্বয়ে হারিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকগণ তাকে অতিসত্বর ডান চোখে ক্যাটারেক্ট সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন। শ্বাসকষ্টের রোগী হওয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে জামিন লাভের সুযোগ পাচ্ছেন না।

আবুল আসাদের শারীরিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে তার জামিন আবেদন শুনানির উদ্যোগ নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়।

এরপর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রথম আবেদনকারী হিসেবে গত ১১ মে আবুল আসাদের জামিন আবেদন করা হয়।

জামিন আবেদনের উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলা হয়, দৈনিক সংগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ লিখেছেন, এটা আদালত অবমাননা হতে পারে, রাষ্ট্রদ্রোহ না।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ লেখা হয়। এর পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকসহ সাত-আটজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করা হয়।

Exit mobile version