Various types of difficulties and tea mixed with the urine of the daughter in law

Minar Rashid

পুত্রবধূর মূত্র মিশ্রিত চা ও নানা কিছিমের আপদ

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপধ্যায় একবার জনৈক ইংরেজের কাছে চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে যান। ইংরেজ ভদ্রলোক বঙ্কিম চন্দ্রের বাংলা জ্ঞান পরখ করার জন্যে প্রশ্ন করেন, আচ্ছা বলুন তো দেখি, বিপদ আর আপদের মধ্যে পার্থক্য কি ?
বঙ্কিমচন্দ্র খানেকটা ভেবে উত্তর দেন, ‘ দেখুন, একবার নৌকা করে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার সময় নদীতে তুমুল ঝড় উঠেছিল। সেটা ছিল আমার জন্যে নিঃসন্দেহে একটা বিপদ। ‘

আর এখন বাঙালি হয়ে আপনার মত এক ইংরেজের কাছে আমার বাংলা জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এটা হলো আমার জন্যে একটা মস্ত বড় আপদ।

আজ মানব জাতির সম্মুখে বিপদের শেষ নেই। এসবের মাঝে আবার নিত্য নতুন আপদ সৃষ্টি হচ্ছে। ইন্ডিয়ার এক মেয়ে গত এক বছর যাবত তার শ্বশুর শাশুড়িকে চায়ের সঙ্গে নিজের মূত্র পান করিয়েছেন। দাম্পত্য ঝগড়ার পর এই বধূকে মুচলেকা দিয়ে ফিরিয়ে এনেছিল তার স্বামী। সেই মুচলেকায় শর্ত ছিল, স্বামীধন কাফফারা হিসাবে সংসারের কাজ করে দিবে ও চাহিবামাত্র স্ত্রীর শরীরটি ম্যাসেজ করে দিবে । কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ি অপত্য স্নেহের বশবর্তী হয়ে ছেলের জন্যে চরম অপমানজনক ও বেদনাদায়ক কাজটি করতে বাধা দেয়। তখন ক্ষুদ্ধ হয়ে শ্বশুর শাশুড়িকে নিজের শরীর নিঃসৃত এই তরলটি ভক্ষণ করিয়েছেন সেই নারী।

এদিকে, ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালার দুর্গম এলাকায় জার্মান উইংসের এয়ারবাস এ ৩২০’এর কো পাইলট আন্দ্রেজ লুবিৎজ ১৫০জন যাত্রী নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়নের কারনেই কো-পাইলট এই কান্ডটি ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে । আকাশ পথে ভ্রমনের ক্ষেত্রে এখন টেররিষ্টের চেয়েও বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে পাইলট বা কো পাইলটের দাম্পত্য জীবন ! টেররিষ্টের অস্ত্র মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়বে কিন্তু পাইলট বা কো-পাইলটের এই ধরনের মানসিক অবস্থা কোন ডিটেক্টরেই ধরা পড়বে না। কাজেই মানব জাতির সম্মুখে এটি একটি নতুন আপদ।

তেমনি ভাবে আল-কায়েদারা সারা বিশ্ব তথা মুসলিম বিশ্বের বিপদ হিসাবে গণ্য হলে আপদ হয়েছে আল-ফায়েদারা । এই আল-ফায়েদাদের মুখপত্র হিসাবে কাজ করছে এদেশের তথাকথিত গণ মাধ্যমগুলি । ইন্ডিয়ার এই নারী তার শ্বশুর শাশুড়িকে চায়ের আড়ালে যেমন দিনের পর দিন নিজের মূত্র খাইয়ে গেছে আমাদের দেশের পত্রিকাগুলি তেমনি ভাবে সংবাদের নামে অন্য কিছু গিলাচ্ছে।
প্রথম আলোর আজকের একটি শিরোনাম, আইএসে যোগ দিতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশি তরুণ। অর্থাৎ শিরোনামটি ধারনা দিচ্ছে যে খবরটি শত ভাগ সত্য । অথচ প্রতিবেদনের ভেতরে এই ধরনের সম্ভাবনার কোন নিশ্চিত প্রমাণ মিলে না। বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপ বা আমেরিকায় অর্থনৈতিক অভিবাসী হয়েছেন তাদের অনেকেই এই ধরনের ভূয়া কাগজ তৈরি করে প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ সংলগ্ন কোন একটি দেশে পাড়ি দিয়েছেন । সেখান থেকে দালাল ধরে বা অন্য কোন রিস্কি উপায়ে ইটালি,গ্রীস বা অন্য কোন ইউরোপীয় দেশে চলে গেছেন । এই ধরনের সম্ভাবনাকে পুরা পাশ কাটিয়ে কাগজটি নিশ্চিতমনে শিরোনাম করে ফেলেছে যে যুবকটি আইএসে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছে।

প্রতিবেদনের সর্বশেষ প্যারাটির নিম্নরূপ:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, পূর্বাপর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে যে তুরস্কের পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের অভিপ্রায়ে আশেকুর ইস্তাম্বুলে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এই তরুণের সন্ধানলাভের জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যে তুরস্ক সরকারকে অনুরোধ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আশিকুর রহমানের বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”

এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়ঃ

১) সরকার ধারনা করেছে মাত্র, এখনও প্রমাণ পায় নি।
২) তুরস্কের সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, এখনও সেই জানতে চাওয়ার জবাবটি আসে নি।
৩) পুলিশের যুগ্ন কমিশনার শুনেছেন মাত্র এবং খোজ খবর নিচ্ছেন মাত্র।

তারপরেও প্রথম আলো কীভাবে নিশ্চিত হলো যে আইএসে যোগ দিতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশি যুবক ?

এই প্রশ্নটি কে করবে এখন প্রথম আলোকে ?

বর্তমান সরকার জাতির জন্যে বিপদ হিসাবে গণ্য হলে এই ‘প্রথম আলো’ রা হয়েছে মস্ত বড় আপদ। দেশের গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসনের অভাব, জাতীয় সম্পদের সীমাহীন লুটপাট এদের জন্যে মাথাব্যথার কারন নয়। বিশ্ববাসী যখন এদেশের মূল সমস্যাটি ধরতে পেরেছে এবং নিজেদের অস্বস্তি প্রকাশ করেছে তখন বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করতে প্রথম আলোর দরকার এই ধরনের কিছু শিরোনাম।

ইন্ডিয়ার পুত্রবধূ তার শ্বশুর শাশুড়িকে চায়ের নামে খাইয়েছে নিজের মূত্র। এই প্রথম আলোরা সংবাদের নামে ‘তেমন কিছু ‘ জাতিকে আরাম করে খাওয়াচ্ছে।
ঋঋ
উক্ত শাশুড়ি তবুও এক বছর পর পুত্র বধূকে টি-পটে মূত্র নিঃসরন অবস্থায় ধরে ফেলেছেন । কিন্তু অভাগা এই জাতির ভাগ্য-পটে আনাম- মতিদের এই মূত্র নিঃসরন এখনও ধরতে পারছি না। বরং নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে এই সব আপদকে আমরাই লালন করছি অথবা তাদের ওয়েব সাইটে ক্লিক করে ইন্টারনেটে লাইক বা ক্লিক সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। অন্য কথায় যে গুলিটি দিয়ে আমাকে খুন করা হবে তার খরচও নিজেই যুগিয়ে যাচ্ছি।