Making a knowledge based society

Minar Rashid

একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য

(দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশিত আমার আজকের কলাম। লেখাটি কিছুটা এডিট করে নয়া দিগন্তে ছাপানো হয়েছে। দয়া করে যতদূর সম্ভব লেখাটি ছড়িয়ে দিন এবং আপনি যে মত বা যে পথেরই অনুসারী হোন না কেন, সম্ভাব্য ধ্বংসের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্যে আহ্বানটিতে সাড়া দিন। )

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা অনেক গুণীজনের মুখ থেকে শোনা গেলেও কারো কাছ থেকেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। অনেকের কাছেই এই কথাটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক বিলাসিতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। যারা এই সমাজটিকে প্রকৃত অর্থেই পরিবর্তন করতে পারবেন, তাদের মন ও মননে এই কথা ও ভাবনাটি প্রোথিত করা প্রয়োজন ছিল। এ যাবৎ সে কাজটি তেমনভাবে করা হয়নি।

একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে তিনিই এই বিষয়টির গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন। দেশ পরিচালনায় সমাজের মেধাবী মানুষগুলোকে জড়ো করেছিলেন। ভবিষ্যতের নেতা খুঁজতে তিনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন বোর্ডে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তিনি ‘হিজবুল বাহার’ নামের জাহাজে চড়ে সমুদ্র বিহারের আয়োজন করেছিলেন। তরুণ ও মেধাবীদের মন ও মননে দেশসেবার মন্ত্র গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন। তার এই উদ্যোগ যে কত মহান ও সুদূরপ্রসারী ছিল সেটা তার নিজের দলও সম্যক উপলব্ধি করতে পারেনি।

সত্যিই দুর্ভাগ্য আমাদের। এক ধরনের হীনম্মন্যতা এবং আত্মবিধ্বংসী ভাবনায় নিমজ্জিত হয়ে জিয়ার এই ভিশনটিকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হতে পারিনি আমরা। ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে মেধা, সততা ও সাহস নির্বাসিত হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে একটি মহল আমাদের মন ও মননের বিভিন্ন কুঠরিতে বিরাজনীতিকরণের (Depoliticization) বীজ বা বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। রাজনীতিবিদ ও রাজনীতির প্রতি তরুণ সমাজকে বিভিন্ন কৌশলে ক্ষুব্ধ, হতাশ করে তোলা হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ে প্রজ্ঞা, নীতি বা আদর্শের পরিবর্তে ধূর্তামি ও সুবিধাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সৎ, সাহসী ও ত্যাগী নেতৃত্বের পরিবর্তে অসৎ, ভোগী ও ‘নন্দলাল’ মার্কা নেতা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ভরে গেছে।

‘নীতির রাজা’ রাজনীতিকে এরা নীতিহীন পলিটিকস বানিয়ে ফেলেছেন। কেউ কারো সাথে প্রতারণা করলেই মাথা দুলিয়ে বলে, ‘হুম! তুমি আমার সাথে পলিটিকস করছ, বাছাধন?’

এরই সিকোয়েন্সিয়াল কনসিকোয়েন্সে পুরো সমাজটি হয়ে পড়েছে দুর্নীতির করাল গ্রাসে নিমজ্জিত। তখন কোথা থেকে তথাকথিত এক-এগারোতে হঠাৎ এক দল ‘ফেরেশতা’র উদয় হয়েছিল। তারা রাতারাতি দেশটিকে স্বর্গের দেশ বানিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখায়। সব দোষ দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।

অথচ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম হলো রাজনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক ও অর্থনৈতিক -এই চারটি সংগ্রামের যুগপৎ প্রক্রিয়া। এই চারটি সংগ্রামই একসাথে চালিয়ে যেতে হবে। যেমন, অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল একটি জনগোষ্ঠীকে শুধু নৈতিকতার পাঠ দিয়ে কখনোই দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। একইভাবে পরিপূর্ণ বাকস্বাধীনতার অধীনে (সামাজিক আন্দোলন এবং সচেতনতার মাধ্যমে অর্জিত) উদার গণতন্ত্রের থেরাপি ছাড়া পলিটিসিয়ানদের সৎ বানানো বা সৎ রাখা সম্ভব হবে না।

যে সমাজের মানুষ মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না, সেথায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ছাড়া কখনোই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। জ্ঞানভিত্তিক সমাজের নিক্তির বিচারে ১০ বছর আগে আমরা যে জায়গায় ছিলাম দুঃখজনকভাবে সেখান থেকেও আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি।

সুশীল প্রযোজিত গত জরুরি সরকারের সময় জ্ঞানভিত্তিক সমাজের ধারণাটি খুব জোরেশোরে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, জ্ঞানভিত্তিক সমাজের কথা বলে ওই সুশীলরাই সমাজটিকে আরো পেশিভিত্তিক সমাজের দিকে ঠেলে দিয়ে গেছেন। এক-এগারোর সুশীলদের কৃপায় কিংবা তাদের হাত ধরে (দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নিয়ে) যে সরকার এসেছে, সেটি মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে এ যাবৎকালের সবচেয়ে নিম্নমানের।

সাহিত্য, সাংবাদিকতা, সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের প্রজ্ঞাহীন কিছু বাচাল প্রকৃতির লোককে এরা টিয়াপাখির মতো ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগ তাদের অ্যাসেট মনে করলেও প্রকৃত বিচারে এরা লায়াবিলিটিজ। এদের সমর্থন, পরামর্শ ও উৎসাহে বর্তমান সরকার ভয়ানক বাঘের পিঠে চড়ে বসেছে।

গণতন্ত্রের ধারায় এই দেশে কোনো পরিবর্তন হলে এসব হেভিওয়েট সুশীল নেতাদের মক্তবে পাঠাতে হবে গণতন্ত্রের প্রাথমিক ছবক শেখার জন্য। হয়তো একজন মক্তবের ছাত্র গণতন্ত্র সম্পর্কে যতটুকু জ্ঞান রাখে, এদের কারো কারো ততটুকু জ্ঞানও নেই। এই অজ্ঞানরাই জাতিকে গণতন্ত্র, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ আর আইনের শাসনের পাঠ দিয়ে এসেছেন বলেই আজ আমাদের এই দশা।

এই বিষয়গুলো বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরে অনেক কলাম লিখেছি। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজার হাজার পাঠক সেসব লেখায় তাদের মনের ভাবনা, ক্ষোভ ও বেদনা প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার প্রতি অনুরোধ, আপনারা এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। সেই আন্দোলনের নাম হতে পারে Action for Democracy. সংক্ষেপে সেটাকে ActionDemocracy ( দু’টি শব্দ এভাবে একসাথে থাকবে) বলা যেতে পারে। এই আন্দোলনটি শুধু বর্তমান প্রেক্ষাপটেই দরকার নয় -ভবিষ্যতেও দরকার পড়বে। একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাকল্পে এই আন্দোলন যুগের পর যুগ চালু রাখতে হতে পারে।

কলামিস্ট হিসেবে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে করি। আমার পাঠকদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার কাছকাছি পৌঁছাও আমার প ক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। কেউ কেউ বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কোম্পানির উঁচু পদে কর্মরত। অভিজ্ঞতায়, অনুভবে, মননে এবং দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসায় তারা আমার চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ। এদের একজন তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে (টেলিফোন আলাপচারিতায়) জানিয়েছেন যে, বর্তমান সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি এই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তিনি উদ্বিগ্ন এই সরকার ও তার গুন্ডাবাহিনী জনগণের মনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে তার পাল্টা প্রতিশোধ স্পৃহা পরবর্তি সরকার এসে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে। কাজেই সম্ভাব্য পরবর্তি সরকারের কাছে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের প্রবক্তাদের পরামর্শ একটাই, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়/ তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় ? ‘

পরবর্তী সরকারকে সঠিক পথে চালানোর জন্যওসকল পর্যায়ে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের প্রবক্তাদের নিয়ে এই ধরনের একটা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গঠন জরুরি। তারা সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে ঠাণ্ডা ও সুস্থ মস্তিষ্কে সঠিক পরামর্শটি দিতে এবং দেশকে উত্তরোত্তর ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলনে আমরা একা নই। বিশ্বজনমত তথা বিভিন্ন বিশ্বসংস্থা ও বিশ্বশক্তি আমাদের দেশে গণতন্ত্রের পে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সরকার হাস্যকরভাবে তাদের বক্তব্যকে নিজের পক্ষে টুইস্ট করতে গিয়ে আরো করুণভাবে ধরা খেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বক্তব্য বিকৃত করতে গিয়ে স্বয়ং একজন প্রতিমন্ত্রীই ধরা খাননি বরং পুরো জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। কয়েক দিন আগে বিএনপির কয়েকজন অতি উৎসাহী নেতা কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে তাদের বিবৃতি প্রচার করায় বিএনপি থেকে তাদের সাথে সাথেই বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিমন্ত্রী এখনো তার পদে বহাল রয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেলকে স্বয়ং আমাদের সরকারের শীর্ষস্থানীয় দু’জন ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছেন। উভয়ের দফতর থেকে সাথে সাথেই এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়। লজ্জায় পুরো জাতির মাথা হেঁট হয়ে গেলেও সরকার ঘেন্নাপিত্তি লজ্জা শরম কিছুই অনুভব করেনি। হুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টি রহিমার মাকে দিয়ে যদি কয়েক হাজারবার ‘ছি-ছি-ছি’ বলানো হয়, তারপরও বোধ হয় মনের ক্ষোভ ও ব্যথা কমবে না।
একই ধরনের কর্মকাণ্ডে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্যটি লণীয়। এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটি অনেক সুশীলের চোখে ধরা পড়ে না।

একজন আদর্শবান বাবা তার সন্তানের ক্ষতিকর দোষ গোপন রাখেন না। দরকার পড়লে তা পুলিশকেও জানিয়ে দেন। এর মানে নয় যে, তিনি তার সন্তানকে ভালোবাসেন না। আদর্শবান বাবার সন্তান যেমন কোনো খারাপ কাজ করতে ভয় পায়, তেমনি এক ঝাঁক আদর্শবান কর্মী বা সুধী (Think Tank) সমন্বিত একটি রাজনৈতিক দলও ঠিক ট্র্যাকে থাকতে বাধ্য হয়। দলকানা বুদ্ধিজীবী বা দলের টিয়াপাখিদের সাথে এই ধরনের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট।

বর্তমানে গণতন্ত্রের পক্ষে এই ধরনের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন অপরিহার্য। অপরের রাজনৈতিক অথবা অন্য কোনো অধিকার হরণ করব না এবং নিজের অধিকারও হরণ করতে দেবো না।

ওপরের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করলেই আপনি ActionDemocracy-এর সমর্থক হতে পারেন। এই আন্দোলনের সাথে পুরাপুরি সম্পৃক্ত হতে হলে আপনাকে নিম্নবর্ণিত গুণের অধিকারী হতে হবে : ১. গণতন্ত্রমনা হতে হবে। ২. কোনোরূপ উগ্রবাদী চিন্তা ও আচরণ (রাজনৈতিক অথবা ধর্মীয়) পরিহার করতে হবে। ৩. গালি নয়, যেকোনো পরিস্থিতিতে যুক্তি দিয়ে প্রতিপরে আক্রমণ মোকাবেলা করতে হবে। এই তিনটি শর্ত মেনে নিলে আপনি সহজেই এই আন্দোলনের একজন কর্মী হতে পারেন। আপনার এই ইচ্ছেটি প্রকাশ করে একটি ইমেইল actionfordemocracy@yahoo.com এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন।

তারপর আপনার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিসের কয়েকজন বন্ধু বা সহকর্মী মিলে একটি গ্রুপ গঠন করুন। নিজেদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা করুন। একটি গ্রুপের সদস্যসংখ্যা পাঁচ থেকে তদূর্ধ্ব যেকোনো সংখ্যায় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ActionDemocracy- Fulbaria College branch ev ActionDemocracy- Newcastle, UK branch.
আপনি যে দেশে অবস্থান করবেন সে দেশের নিয়মকানুন কড়াভাবে মেনে চলুন। এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন। কাজেই কোনো দেশের আইন ভঙ্গ করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ কোনোরূপ আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ালে এর দায়ও এই আন্দোলনের ওপর বর্তাবে না।

আপনার কাজ হবে আপনার আশপাশের মানুষকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সম্পর্কে সচেতন করা। এ ব্যাপারে যতটুকু জানেন, ঠিক ততটুকুই অন্যকে জানিয়ে দিন। আপনার জানাশোনার মধ্যে যে রাজনৈতিক কর্মী কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন, তাকে বা তাদেরকে এই ব্যাপারে বুঝিয়ে বলুন; সম্ভব হলে সতর্ক করুন। কারণ এই সরকারই শেষ সরকার নয়।

কাজেই আসুন, কথা বলার সাথে সাথে সামান্য কিছু কাজ শুরু করি। এই দেশটি আমাদেরকে যা দিয়েছে তার সামান্য কিছু হলেও ফিরিয়ে দিই। আপনার আমার এই সামান্য উদ্যোগ জাতিকে মহাবিপর্যয় থেকে রা করতে পারে। আজ সামান্য মনে হলেও আপনার এই নীরব কাজটি গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষের বুকে একদিন শেলের মতো বিঁধতে পারে।

পরিশেষে সবাইকে একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। There was a very important job. Everybody thought that somebody will do it. Anybody could do it but nobody did it.

আশা করব, আমার এই ক্ষুদ্র আহ্বানটি একই পরিণতি ভোগ করবে না।