স্বৈরতান্ত্রিক দেশে উত্তরণ

স্বৈরতান্ত্রিক দেশে উত্তরণ

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

৩১ মার্চ ২০১৮,শনিবার

 

ক’দিন আগে সরকার একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে অফিস আদালত বন্ধ করে সরকারি কর্মচারী ও স্কুলের শিশুদের রাস্তায় নামিয়ে ঘোষণা দিলো যে, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। এ নিয়ে বাগাড়ম্বরও কম হলো না। প্রধানমন্ত্রী সহাস্যমুখে আমাদের জানান দিলেন, ১০ বছর ধরে তার সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গেছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা রাষ্ট্র ও জনগণকে একেবারে পঙ্গু করে দিয়েছে। তিন বছর ধরে মাথাপিছু ধারাবাহিক আয় বেড়েছে। আর এই মাথাপিছু আয়ের অঙ্ক বড় ভয়াবহ। আয় বেড়েছে আড়তদার, মজুতদার, ব্যাংক ডাকাত, ঘুষখোর আর দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি লুঠেরাদের। দ্রব্যমূল্যের চাপে জিহ্বা বের হয়ে যাওয়া নাগরিকদের এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের অবস্থা ত্রাহি মধুসূদন।

এর আগে লিখেছিলাম, মাথাপিছু আয় বাড়লেই রাষ্ট্রের মর্যাদা উন্নত হয় না। আসলে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো দুই শ্রেণীতে বিভক্ত- উন্নত ও অনুন্নত। পৃথিবীর দেশগুলোকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে তিনটি জিনিস দরকার হয়। তার মধ্যে আছে জনগণের সেবা করার জন্য বিশাল কর্মীবাহিনী আর তাদের দেখভাল করার লোক। সেখানকার জনগণ ও শিল্পপতিরা যথাযথভাবে ট্যাক্স দেয়। অর্থনীতি থাকে স্থিতিশীল এবং ক্রম ঊর্ধ্বগামী। জনশক্তি থাকে দক্ষ। অনুন্নত দেশগুলোর অবকাঠামো থাকে পুরনো এবং ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। জনগণের খরচ করার মতো যথেষ্ট অর্থ থাকে না।

অনুন্নত দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান খারাপ, সেবার মান উন্নত দেশগুলো থেকে নিম্ন। এ সব দেশে দুর্নীতি একটি বড় রোগ। তবে অর্থনৈতিক উন্নতি দৃশ্যমান। অনুন্নত দেশে থাকে বিপুল মানুষ। তবে তাদের কাজে লাগানোর যথাযথ কর্মসংস্থান থাকে না। সাধারণ মানুষের আয়ও কম। তারা সরকারকে করও দিতে চায় না। এটা প্রায় নিয়মিত ব্যাপার। এ ছাড়া এসব সরকার সাধারণত দুর্নীতিবাজ হয়। ফলে অনুন্নত দেশের সরকারগুলোকে সরকার বলা হাস্যকর হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষপর্যায়ে। সরকারের বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমি চোর।
মন্ত্রী-এমপিরা চোর। তিনি সরকারি কর্মচারীদের সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিলেও তাদের দুর্নীতির প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে। সরকার সেখানে দর্শক মাত্র। তাহলে উন্নয়নশীলের গর্ব কোথায়?

এর মধ্যেই উন্নয়নশীলের বেলুন ফুটো করার মতো সংবাদ এলো। তা হলো বিশ্বের নতুন পাঁচটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ঠাঁই করে নিয়েছে। এখানে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত এক গবেষণায় এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের মানে অবনতি ঘটায় একসময় পঞ্চম বৃহৎ গণতন্ত্রের এ দেশটি ফের স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে’। জার্মান থিংকট্যাংক বারটেলসম্যান স্টিফটাংয়ের গবেষণায় এ সব কথা বলা হয়েছে। এতে নতুন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত অপর দেশগুলো হলো লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে আরো যারা এগিয় আসছে তারা হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মালদোভা, নাইজার, ফিলিপিনস ও তুরস্ক। অবশ্য এদের স্বৈরতান্ত্রিক হওয়ার গতি একেক দেশের একেক ধরনের।

গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও সুশাসনের মান এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন অবনতির বেশির ভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত সমাজগুলোয়, যেখানে সরকারগুলো ক্রমেই স্বেচ্ছাচারী শাসন চালাচ্ছে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩২০ কোটি মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে বাস করছে। পক্ষান্তরে গণতন্ত্র উপভোগ করছে ৪২০ কোটি মানুষ। বারটেলসম্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব্য স্বৈরাচারী দেশে বড় সমস্যা হলো নাগরিক অধিকার সঙ্কুচিত হওয়া। ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোয়ও আইনের শাসন খর্ব হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন আর গণতান্ত্রিক নয়। বাংলাদেশসহ নব্য পাঁচ স্বৈরতান্ত্রিক দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মান পর্যন্ত মানছে না। এ সব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছিল। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে তা ঘটেছে বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়।

গণতন্ত্র মানুষের ন্যূনতম মৌলিক মানবিক অধিকারগুলোকে সম্মান করে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতি অনুপস্থিতির কথা বলেছে আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন সলিডারিটি গ্রুপ ফর বাংলাদেশ। সলিডারিটি গ্রুপ গণগ্রেফতার করা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। তাদের সুপারিশ, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি বিচারবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

জোরপূর্বক গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ওই সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন চলছে। সেই সাথে সরকারের সমালোচকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ হচ্ছে এবং মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে আইন তৈরি হচ্ছে। সলিডারিটি গ্রুপ ফর বাংলাদেশের সাথে যেসব সংগঠন রয়েছে তারা হলো- এশিয়ান ফেডারেশন এগেইন্সট ইনভলান্টারি ডিজএপিয়্যারেন্সেস (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার (এএলআরসি), সিভিকাস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইজিএইচ), অধিকার, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও ওয়ার্ল্ড অরগ্যানাইজেশন এগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)। এ বছরই এই ফোরামে যোগ দিয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন নামে একটি গ্রুপ। তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছে, গণগ্রেফতারের কড়া নিন্দা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে। তা শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির অভিযোগের মামলার রায়কে সামনে রেখে শুরু গ্রেফতার অভিযান। ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় দেয়া হয়। ফলে সাথে সাথে ব্যাপক হারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। এক মাসের মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে পাঁচ হাজার। এর মধ্যে এমন কিছু সাধারণ মানুষ আছেন, যাদের কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলের প্রতি সহানুভূতিশীল মনে করে। এসব মানুষকে সারা দেশেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের বেশির ভাগই দেশজুড়ে বিভিন্ন কারাগারে আটক আছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এত বিপুলসংখ্যক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সরকারের সমালোচক ও অধিকার কর্মীদের দমন-পীড়নের ফলে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মৌলিক স্বাধীনতা হরণের আক্রমণে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ যখন দাবি করছে, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য তারা এ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে দৃশ্যত তাদের এসব কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উপরন্তু বন্দী অবস্থায় বিপুল মাত্রায় নির্যাতন ও অশোভন আচরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা ঘটে ১২ মার্চ।

পুলিশের হেফাজতে থাকা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা উত্তরের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন মিলন মারা যান। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৬ মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিরাপত্তার হেফজাতের থাকা অবস্থায় পর্যায়ক্রমে নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তার হেফাজতে থাকা অবস্থায় পায়ে গুলি করায় বহু ডজন মানুষ স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছেন। একই সময়ে ৪২২ জন মানুষকে জোর করে গুম করে দেয়া হয়েছে। আর ১৪৮০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে সলিডারিটি এসব ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।

তাহলে মধ্য আয়ের দেশের ডঙ্কার কী হলো। সরকার তো এটা অস্বীকার করতে পারবে না যে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তারা গণহারে গ্রেফতার করছে না। তা ছাড়া বিএনপিকে কোথায়ও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। নতুন নতুন আইন তৈরি করে স্বাধীন মত প্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইইউ ও ১০টি দেশের কূটনীতিকেরা একযোগে সরকারকে বলেছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংশোধন করা উচিত। তারা এও বলেছেন যে, এ আইনের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে একটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশকে নব্য পাঁচটি স্বৈরাচারী দেশের তালিকাভুক্ত করায় আওয়ামী চোঙ্গাবাজরা খুব একটা তড়বর করেনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম শুধু বলেছেন, হিটলারের দেশ থেকে আমাদের গণতন্ত্র শিখতে হবে না। আর ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। ছয় বছর পরে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেও যেতে পারে, সেরকম সময় জার্মানি কেন এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করল। তবে এক অতি আওয়ামী সমর্থক পত্রিকা জানিয়ে দিয়েছে যে, নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ ঘোষণার পর থেকে আগামী জুলাই হতে বাংলাদেশের জন্য কম সুদের ঋণ বন্ধ করে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

পাশাপাশি এ সংস্থা মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ায় সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও গুনতে হবে বাড়তি চাঁদা। বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের দেশ ছিল বাংলাদেশ। সে কারণে অল্প সুদে ঋণ পেয়েছে। তবে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর কম সুদে ঋণ পাওয়ার আর সুযোগ নেই। জুলাই থেকে কঠিন শর্তে ঋণ নিতে হবে বাংলাদেশকে। সে ঋণের সুদহার ২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যা এখন ০.৭৫ শতাংশ হারে পাওয়া যাচ্ছে। একই উদ্যোগ নেবে জাইকাও। তারাও সুদের হার বাড়িয়ে দেবে। মেয়াদকাল ও পরিশোধের সময় কমিয়ে দেবে। ধারণা করি, এডিবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও একই পথ গ্রহণ করবে। তখন উন্নয়নশীলের আসল মজা বোঝা যাবে।

এইচ টি ইমাম ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বাইরে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য কেউ তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। তবে এই নব্য স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সামনে সুখের দিন খুব বেশি একটা নেই। ভারতনির্ভর এই সরকারের ধারাবাহিতকায় ভারতও যে সমর্থন করবে এমনটি এখন আর নিশ্চিত নয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারতের সম্পর্ক কোনো রাজনৈতিক দলেন সাথে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সাথে। ইউরোপ আমেরিকা প্রতিকূল অবস্থান নিয়েছে। চীন কখনোই অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না। সেই চীনের রাষ্ট্রদূতও সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, চীন বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নব্য স্বৈরাচারী সরকারকে এর মাজেজা উপলব্ধি করতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com