স্বার্থহানিকর ভারতের কোনো প্রস্তাবে রাজি হবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে ড. মোশাররফ

স্বার্থহানিকর ভারতের কোনো প্রস্তাবে রাজি হবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে ড. মোশাররফ

Daily Nayadiganta

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন – ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের স্বার্থহানি হয় এবং দেশের জনগণের ক্ষতি হয়- ভারতের এমন কোনো প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখন থেকেই সাবধান করতে চাই। আপনি ভারতে যাচ্ছেন, ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের স্বার্থহানি হয় এবং দেশের জনগণের ক্ষতি হয়- ভারতের এমন কোনো প্রস্তাবে আপনি রাজি হবেন না। আর হলে, এদেশের মানুষ কিন্তু সব কিছু দেখছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত যাচ্ছেন। এরআগে ভারত থেকে এসে তিনি বলেছিলেন, ভারতকে এতো দিয়েছি, তারা আর এই ঋণ শোধ করতে পারবে না। আজ আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী এমন কোন কথা বা কাজ আপনি করে আসবেন না- যেটা আপনি বলেছেন, আপনি ভারতকে অনেক দিয়েছেন। আর দেওয়ার কিছু নাই। সুতরাং এবার এমন কিছু করবেন না যে, জাতীয় স্বার্থ ব্যাহত হয়। এমন কিছু করবেন না যাতে করে এ উপমহাদেশে আবার একটা অশান্তির আগুন জ্বলে উঠে।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, ১/১১কে ঠেকানোর জন্য তিনি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। আমাদের প্রশ্ন, দেশ ১/১১ দিকে যাবে-এমন পরিস্থিতি কেনো সৃষ্টি করেছেন।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন, সেই কারণে এই অভিযান। আমাদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর আগে কেনো সদিচ্ছা ছিল না?