রাজনীতিতে গণনিষ্ক্রিয়তা

রাজনীতিতে গণনিষ্ক্রিয়তা

রাজনীতি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোনো গোষ্ঠী যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় তাকে নাগরিক সরকার বলা হয়। মূলত কর্তৃত্ব আর ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্কই হলো রাজনীতি। সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি মানুষের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। মুক্তি শব্দটির সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হচ্ছে সুন্দর জীবন। সুন্দর জীবন সৃষ্টি সংস্কৃতির লক্ষ্য, অনুঘটক হিসেবে রাজনীতিরও সর্বোচ্চ লক্ষ্য সুন্দর জীবন নির্মাণ করা। একটি রাষ্ট্র কী ধরনের হবে, কেমন হবে এর শাসনব্যবস্থা ও জনজীবন, এটিই রাজনীতির আলোচ্য বিষয়। তাই যত দিন রাষ্ট্র থাকবে, তত দিন মানুষ রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাবে- এটিই স্বাভাবিক। আমাদের সমাজ নানা শ্রেণীতে বিভক্ত, সেইসাথে রাষ্ট্রের অধীন। রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অবধারিতভাবে চলে আসে সংস্কৃতি, সভ্যতা ও শ্রেণীর ইতিহাস, রাষ্ট্রের ও পরিবারের ইতিহাস।

বাংলাদেশে রাজনীতির নামে এই মুহূর্তে চলছে ‘নতুন’ ধারার করপোরেট-রাজনীতি, কিছু গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমতা ও সম্পদ বিন্যস্ত করার নতুন বন্দোবস্ত। এই বন্দোবস্ত রক্ষা করতে চায় জনসাধারণের শ্রম ও ভূ-প্রকৃতির সম্পদ লুণ্ঠনকারী বহুজাতিক বাণিজ্যসঙ্ঘগুলোর স্বার্থ, জীবনবিধ্বংসী সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যবাদের স্বার্থ এবং এগুলোর এদেশীয় প্রশাসনিক-ব্যবসায়িক সাংস্কৃতিক অংশীজনের যাবতীয় স্বার্থ। এটিই সুশীল জমানার রাজনীতি! দেশের শাসকশ্রেণী চাইছে রাজনীতিকে নিজেদের রাজনৈতিক মিত্রদের সপক্ষে নতুন করে ঢেলে সাজাতে। গণমানুষের চাওয়া-পাওয়া ততটুকু স্থান পাবে, তারা যতটুকু চাইবে। এ কারণেই তরুণসমাজ আর গণমানুষ দেশের বর্তমান রাজনীতিতে সম্পর্ক রাখতে অনাগ্রহী।

তবে সামনে আসা সমস্যার সমাধানে অভিজ্ঞতায় আলোকে চেষ্টা করে ভবিষ্যৎমুখী মানবসমাজ। মানুষ চায় সুন্দরভাবে বাঁচতে। চাইলেই তো আর সুন্দর জীবন পাওয়া যায় না। এ জন্য অবিরাম সংগ্রাম করতে হয়। একসময় পৃথিবীতে সাম্য ছিল, বনচারী মানুষ সাম্যের পতাকাতলে নিজেকে নিয়ে সুখেই ছিল। পুঁজির চিন্তা মাথায় এলে মানুষ সাম্যাবস্থার শর্ত ভেঙে দাসপ্রথা কায়েম করে। দাসদের জীবন ছিল যন্ত্রণাকর। শুরু হয় দাসবিদ্রোহ। সেই মহাবিদ্রোহে দাসপ্রথা ভেঙে সামন্ত সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে। অস্বাভাবিক লোভ ও শোষণে মুখ থুবড়ে পড়ে সামন্তব্যবস্থা। এর পতনের পর পৃথিবীতে শেকড় গাড়ে সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদীব্যবস্থা। এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ফের নতুন সমাজ বিনির্মাণ করতে চায় কিছু মানুষ। এই তাগিদ অনুভব করেন মানবতাবাদীরা।

প্রতি মুহূর্তে বৈশ্বিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে বদলাচ্ছে দৈশিক অবস্থা, প্রকৃতি আর জলবায়ু। আগে এক দেশের সাথে আরেক দেশের যে সম্পর্ক ছিল; ওই সম্পর্ক এখন আরো ঘনিষ্ঠ বা শত্রুতাপূর্ণ। যিনি সময়ের জটিলতা যত বেশি চিনতে, বুঝতে পারবেন- তার পক্ষেই সভ্যতাবিনাশী সূত্রগুলো দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব। সমকালীন বিশ্বে এক দেশে পরিবর্তন এলে সেই ছোঁয়া অন্য দেশেও লাগে। একবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে; তাতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাঁক বদল না হয়ে পারে না। ফলে কয়েক দশক আগেও রাজনীতির যে চেহারা বা ব্যাকরণ ছিল এখন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু ভিন্ন নয়, ক্ষেত্রবিশেষে বিপরীতধর্মী।

রাজনীতির নামে দেশের শাসকশ্রেণীর নানা অংশের ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে ইদানীং জনগণ নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে। এই প্রবণতা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পূর্বাপর বৈশিষ্ট্য। লক্ষণীয় হলো, শাসকশ্রেণীর কাছ থেকে জনগণের এই আপাত দূরত্ব খোদ রাজনীতি সম্পর্কে তাদের ‘সুচিন্তিত’ নির্লিপ্ততারই নামান্তর। অতি রাজনৈতিক সচেতন বলে যারা দাবি করেন, তাদের গড়পড়তা ধারণা- দলীয় রাজনীতি যারা করেন না, তারা দ্বিতীয় ‘শ্রেণীর জীব’। সাধারণ মানুষ যে আসলেই গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলো পছন্দ করছেন না, সেটিকে তারা মনে করেন তাদের অজ্ঞতা এবং সাম্রাজ্যবাদীদের প্রচারণার ফল। কেতাবি তত্ত্ব, মেঠো বক্তৃতা এবং একধরনের অন্ধ আন্তরিকতার বাইরে বাস্তব দলীয়-জীবনে অজস্র খটকা থেকে হোঁচট খেয়ে দীর্ঘ বেদনাদায়ক চিন্তা-অনুসন্ধান-অনুশীলনের প্রক্রিয়ায় অবশেষে দেখা গেল, প্রচলিত রাজনীতির ধারণার মধ্যেই আছে গোড়ায় গলদ। বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক জাতি-রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ার দীর্ঘ পথ হেঁটে কোনো-না-কোনোভাবে এ গলদ টের পেয়েছেন। ফলে তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করলেও, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যে ধরনের একাত্মতা বোধ করতেন, স্বাধীনতা-উত্তর অভিজ্ঞতায় রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে তাদের যাবতীয় মোহভঙ্গের বেদনায় বিপন্ন।

দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেন তিরিশের দশকে প্যাট্রিক হ্যামিলটন রচিত ‘গ্যাসলাইট’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এবং ১৯৪৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গ্যাসলাইট থ্রিলার ছবির প্রতিচ্ছবি। সেই চলচ্চিত্রে নায়ক চার্লস বয়ার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করে ধীরে ধীরে তার স্ত্রীর মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব জনগণের ওপর ঠিক সেভাবে কর্তৃত্ব ফলাতে এমন আচরণ করছেন। জনগণ সেই কূটকৌশল ধরে ফেলেছেন। ফলে আজকাল অনেককে বলতে শোনা যায়, আমি রাজনীতিতে আগ্রহী নই। রাজনীতি সম্পর্কে গণমানুষ; বিশেষ করে তরুণরা বিরূপ মনোভাব জানাতে দ্বিধা করেন না। আদর্শহীন ভোটসর্বস্ব বড় দলগুলোর অনৈতিক কার্যকলাপে শুধু তরুণরা নন, বহু সংবেদনশীল ব্যক্তিমাত্রই রাজনীতি সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ। খুন, পাল্টা খুন, জ্বালাও-পোড়াও, দখল, হুমকি, বড়ভাইসুলভ আচরণ, অসংযত কথাবার্তা, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের উদগ্র বাসনা, স্বার্থের কারণে ভিন্ন মতাদর্শে অবলীলায় মিশে যাওয়া; এসব কিছুই বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের করুণ দশা। সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বেশির ভাগ মানুষ এমন রাজনীতি এড়িয়ে চলতে চান। এড়িয়ে চলতে চাইলেই কি এড়ানো যায়? অর্থনীতি যেমন সমাজের ভিত্তি; তেমনি রাজনীতিও অবিচ্ছেদ্য উপরিকাঠামো। ফলে চাইলেও রাজনীতি পরিহার করে জীবন ও কর্ম চলানো কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

রাজনীতি হলো সমাজ পরিচালনার দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজ যেহেতু শোষক আর শোষিত এই দুই ভাগে বিভক্ত, এ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও দু’ধরনের। একটি সমাজের প্রচলিত শোষণমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখাতে চায়, যা কায়েমি স্বার্থের রাজনীতি। এই রাজনীতির উদ্দেশ্য বেশির ভাগ মানুষের জীবনের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যর্থ, পচন ধরা ব্যবস্থায় সাধারণের বিকাশের সব পথ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও শাসক পুঁজিপতি শ্রেণীর স্বার্থে তাই ঘষে মেজে এগিয়ে চলার ব্যবস্থা করা। এই মেরামতিতে সমাজকাঠামোর পচন রোধ করা অসম্ভব। ফলে রাজনীতি, নীতিনৈতিকতা, সংস্কৃতি আজ ক্ষয়িষ্ণু। আদর্শহীন রাজনীতির রূপটি দেখে গণমানুষ এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ অবস্থায় সমাজিক দায়বদ্ধতা ক্ষয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। এতে সুবিধা শাসকশ্রেণীর। সমাজ মননের এই রাজনীতিবিমুখতা টিকিয়ে রাখতে তারা চান শাসন-শোষণের আয়ুষ্কাল দীর্ঘায়িত করতে। বিপরীতে আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ক্ষয়িষ্ণু সমাজব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে সাধারণের বিকাশের পথ উন্মুক্ত করতে চায়। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থ প্রতিফলিত হওয়ায় একটি আদর্শবোধের জন্ম দেয়। যুগে যুগে মহৎ মানুষেরাই আদর্শবাদী রাজনীতির পতাকাবাহী। তারা মানুষকে, বিশেষত যুবশক্তিকে এমন রাজনীতিতে আহ্বান করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শেখান।

স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে পুঁজিপতি শ্রেণীর হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়েছে। কায়েম হয়েছে সর্বোচ্চ মুনাফার লক্ষ্যে মুষ্টিমেয় পুঁজির মালিকের মেহনতি মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর সমাজব্যবস্থা, যা ইতোমধ্যে বিকাশের ক্ষমতা হারিয়ে মুমূর্ষু দশায়। ক্ষয়িষ্ণু এ ব্যবস্থার হাত ধরে গোটা সমাজকাঠামোতে পচন ধরেছে। এ ব্যবস্থা রক্ষায় রাজনীতি হয়ে পড়েছে আদর্শহীন ক্ষমতালোভীদের স্বার্থ রক্ষার অস্ত্র। এই রাজনীতির প্রতি বিরাগের কথাই বলেছে তরুণসমাজ, বড় পরিসরে গণমানুষ। এটিই রাজনীতির একমাত্র ধারা নয়। আরো একটি ধারা সমান্তরাল, যেটি আজকের দিনের বিপরীত, যা রাজনীতির পচে যাওয়া ধারা পাল্টে নতুন গতিপথ প্রতিষ্ঠার লড়াই। সেটি চিনে নিয়ে শক্তিশালী করতে না পারলে, শুধু রাজনীতিবিমুখ হওয়া কার্যত পচে যাওয়া ধারা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করা বৈ কিছু নয়। আজকের দিনে রাজনীতিবিমুখ মানসিকতা অস্বাভাবিক নয়; কিন্তু বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে থাকলে পরিস্থিতি পাল্টাবে না।

দেশের বেশির ভাগ মানুষের স্বার্থে সঠিক নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে যথার্থ নেতৃত্বে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক-প্রক্রিয়াই পারে এ সমস্যা উত্তরণের পাশাপাশি বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি থামাতে। গণমানুষের স্বার্থে লড়াই-আন্দোলনের সেই প্রকৃত রাজনীতির ঝাণ্ডা তুলে নেয়াই সমকালের রাজনীতি। এ প্রসঙ্গে তরতাজা উদাহরণ হলেন আসামের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবীন গর্গে। তার ‘পলিটিকস ন করিবা বন্ধু’ অসমীয়া ভাষায় তুমুল জনপ্রিয় একটি গান। বাংলাদেশেও অনেকে গানটার কথা জানেন। গানটিতে রাজনীতিকে তিরস্কার করেছিলেন তিনি। ইতিহাসের বড় কৌতুক হলো, ভারতজুড়ে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের মুখে জুবীন রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সমগ্র তরুণসমাজের সামনে একই নিয়তি অপেক্ষা করছে। জুবীন তার গানের শ্রোতাদের বলেছিলেন, ‘নোংরা রাজনীতি করার চেয়ে দুবেলা দুমুঠো খুঁটে খাওয়াও ভালো’। তার গানের ভাষায় ‘রাজনীতি, জাগ্রত জনতাকে দিগভ্রষ্ট করছে।’ রাজনীতিবিদদের ‘পরিবর্তন’-এর বুলিকেও তিরস্কার করেছেন তিনি। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেই তিনি বুঝতে পেরেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সমাজজুড়ে ধর্ম ও জাতিবাদী উগ্রতার ময়লা-আবর্জনা সরাতে সরাসরি হাত না লাগিয়ে উপায় নেই। তিনি এক অমোঘ বার্তা দিলেন যেন- রাজনীতির বিকল্প নেই। তরুণ এই গায়কের রাজনীতিতে আসার ঘোষণা শুধু আসাম কিংবা পুরো ভারত নয়; সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতেই পালাবদলের সূচনা বটে। জুবীনের মতো আমাদের দেশের তরুণসমাজ এবং গণমানুষকেও রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হবে শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও। রাজনীতিই হচ্ছে সামষ্টিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের একমাত্র নিয়মতান্ত্রিক পথ। আর একটি কথা, রাজনীতিসচেতন না হলে জাতি হিসেবে স্বতন্ত্রবৈশিষ্ট্য নিয়ে কেউ অতীতেও টিকে থাকতে পারেনি; অদূর ভবিষ্যতেও টিকে থাকা সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে গণমানুষের নিষ্ক্রিয়তা আমাদের জাতীয় জীবনে এক অশনিসঙ্কেত বলেই মনে হয়।

camirhamza@yahoo.com