যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না : কাদের

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৪৯, আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:১৫

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না-ওবায়দুল কাদের
– ছবি – সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ ধরনের বক্তব্য জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সভাশেষে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিষয়ে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে কিন্তু বিএনপি আলাল এবং মালেককে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছে।

সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা করা হবে। শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত। বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এছাড়াও জানুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে সপ্তাহব্যাপী লোকজ উৎসব করা হবে টুঙ্গিপাড়ায় বলেও জানানো হয়।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বের ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ তালিকায় বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেজারি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় র‍্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র‌্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ হুমকির মুখে পড়েছে।

এতে বলা হয়, যৌথ টাস্ক ফোর্স র‍্যাব ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। র‍্যাবের দায়িত্ব হলো-অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সরকার-নির্দেশিত তদন্ত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি লোকের নিখোঁজের পেছনে র‌্যাব ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়ী বলে এনজিওগুলোর অভিযোগ। ২০১৮ সাল থেকে তাদের হাতে প্রায় ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী বলে কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলেও জানানো হয়।