মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী ৷

মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী ৷
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী ৷ যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে পরিচিত ৷ তাঁর জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ১লা সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জেলায় ।
দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পরদিনই লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন । ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সেনাবাহিনীর চিফ অব দি জেনারেল স্টাফের সহকারি নিয়োগ করা হয় । ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ওসমানী পর পর চতুর্দশ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের নবম ব্যাটালিয়নে রাইফেল কোম্পানির পরিচালক, পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের অতিরিক্ত কম্যান্ডান্ট এবং সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন । ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি কর্নেল পদে উন্নীত হন । এরপর তিনি আর্মি হেডকোয়ার্টারে জেনারেল স্টাফ ও মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর নিযুক্ত হন । ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ।
আতাউল গণি ওসমানী ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন । সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন । ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে ওসমানী বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন । এরপর নিজের কৌশল, বুদ্ধিমত্তা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বাধীনতা এনে দেন ৷
স্বাধীনতার পর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর জেনারেল পদে উন্নীত হন (এ পদোন্নতি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়) । ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ই এপ্রিল সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ।
আজ এই বঙ্গবীরের জন্মবার্ষিকীতে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ও স্যালুট ৷